দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা, রাজ্যসভায় ভাষণের মাঝেই নজিরবিহীনভাবে ঘোষণা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা ঘিরে টানটান উত্তেজনার চিত্রনাট্য লেখা হল এদিন রাজ্যসভায়। কখনও রবীন্দ্রনাথ তো কখনও বিবেকানন্দের বানী বলে নিজের পদত্যাগের কথা জানালেন তিনি। নাটকীয়ভাবে দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা এবং তাঁর বক্তব্যে আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের কথা উঠে এসেছে। যে ভাবে সাম্প্রতিক অতীতে যাঁরা তৃণমূল ছেড়েছেন তাঁদের সকলেরই অভিযোগ থেকে কাজ করতে না পারার। তিনিও ব্যাতিক্রম নন।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এখানে বসে বসে যদি চুপ করে থাকতে হয় কিছু বলা না যায় তাহলে এখানে থাকার থেকে ছেড়ে গিয়ে বাংলায় মানুষের জন্য কাজ করা। তিনি বলেন, ‘‘আমি দিল্লিতে বসে কিছু করতে পারছি না। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’’

শুক্রবার রাজ্যসভায় অধিবেশন চলার সময় তাঁর ভাষণের মধ্যেই হঠাৎ করে তিনি তাঁর পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল ছাড়ছি। দলের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। আমি অন্তরাত্মার কথা শুনেছি।’’

এর পরই চেনা জল্পনা তৈরি হয়েছে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। সম্প্রতি তাঁকে নরেন্দ্র মোদীর টুইটও রি-টুইট করতে দেখা গিয়েছে। এদিন তিনি ভাষণ শুরু করেন করোনা প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারের প্রশংসা করেই। যার ফলে এটা প্রায় নিশ্চিত তিনি বিজেপিতেই যোগ দেবেন। যদি তিনি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে তৃণমূলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁকে এখানে পাঠানোর জন্য।

রেলমন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে সরিয়েও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবারও পরবর্তী সময়ে তাঁকে সম্মানের সঙ্গে দলে রাখা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি তৃণমূলের বড় বড় নাম দল ছাড়ছেন নানা অভিযোগে।

এদিন যখন তিনি পদত্যাগের কথা বলছিলেন তখন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান তাঁকে জানানোর চেষ্টা করেন এ ভাবে পদত্যাগ করা যায় না। তার একটা নিয়ম রয়েছে। যদিও দীনেশ ত্রিবেদীর বক্তব্য থামাতে পারেননি। তিনি বলেই যান। তবে চেয়ারম্যান তার মধ্যেই তাঁকে জানান, যেন নিয়ম মেনে তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)