ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল নব দম্পতির খড়দহ-টিটাগড়ের মাঝে

রাজ্যে আবার চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেনরাজ্যে আবার চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল নব দম্পতির। শুক্রবার গভীর রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখার খড়দহ এবং টিটাগড় স্টেশনে মাঝে। ওই দম্পতি রেললাইনের উপর বসে গল্প করছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে রেল পুলিশ।

রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম আশারুল শেখ এবং গান্ধারা বিবি। তাঁদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। মাসখানেক আগে বিয়ে করার পর কয়েক দিন আগেই তাঁরা ওই এলাকায় ভাড়া এসেছিলেন। কিন্তু, মাঝরাতে রেললাইনের উপর বসে কেন গল্প করছিলেন সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুক্রবার রাত থেকেই লাইনপাড়ে বসে কথা বলছিলেন আশারুল এবং গান্ধারা। রাতের শেষ ট্রেন চলে যাওয়ার পর তাঁরা লাইনের উপর বসে কথা বলতে শুরু করেন। রেললাইনের পাড়ের ঝুপড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই দম্পতি। এলাকার অনেকেই তাঁদের লাইনের উপর থেকে নেমে আসতে বলেন। কিন্তু, সে সবে কান দেননি ওই দম্পতি। এর পর ভোরের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তখনও আলো ফোটেনি। রাত পৌনে চারটে নাগাদ একটি ট্রেন এসে ধাক্কা মারে ওই দম্পতিকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।

তদন্তে নেমে রেলপুলিশ খতিয়ে দেখছে, তাঁদের মধ্যে কোনও ঝামেলা থেকেই কি এই ঘটনা? দু’জনে পরিকল্পনা করেই কি রেললাইনের উপর বসে থেকে আত্মহত্যা করেছেন? না কি এটা নিছকই দুর্ঘটনা? এখনও পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসেনি পুলিশের। সেই রিপোর্ট হাতে এলে সবিস্তার বলা সম্ভব বলে জানিয়েছে রেল পুলিশ।

বাঙাল-ঘটির আড্ডা চায়ের দোকানে, জমাটি দ্বন্দ্ব বেধে গেল ইস্ট-মোহনে

এলাকাবাসীও এই ঘটনায় চমকে গিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ওই দম্পতি মাত্র চার-পাঁচ দিন আগেই রেলপাড়ের ঝুপড়িতে ভাড়া এসেছিলেন। ভাল করে সকলের সঙ্গে পরিচয়ও হয়নি। তবে, যেটুকু দেখাসাক্ষাৎ হয়েছিল, তাতে দু’জনকেই বেশ মিশুকে বলে মনে হয় প্রতিবেশীদের। কিন্তু, কী কারণে তাঁরা অত রাতে রেললাইনের উপরে বসে গল্প করছিলেন, তাঁদের মধ্যে কোনও ঝগড়া হচ্ছিল কি না সে সম্পর্কে কেউই স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাতে পারেননি। এমনকি ঘটনাটি যখন ঘটে, সেই আলো না ফোটা ভোরে কেউ সেখানে উপস্থিতও ছিলেন না। কাজেই, ওই দম্পতি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, নাকি ট্রেন এসে তাঁদের ধাক্কা মেরেছে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। রেল পুলিশের দাবি, এ দিন সকালে দু’টি দেহ লাইনের পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে তাদের এলাকাবাসী খবর দেন।