দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক চলা শুরু করে দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে

দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক -এর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে তিনি ওই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কেএমডিএ-র সিইও সঞ্জয় বনশল, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী, তৃণমূল বিধায়ক ব্রাত্য বসু, কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা-সহ অনেকেই।

বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েক বার পিছিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক তৈরির নির্দিষ্ট সময়সীমা। এ বছরের প্রথমেই উদ্বোধনের কথা ছিল। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার কাজ শেষ করে কেএমডিএ-র হাতে স্কাইওয়াকের দায়িত্বভার তুলে দিয়েছিল নির্মাণকারী সংস্থা। ওই দিনই রেলের সংস্থা রাইটসের তরফে দেওয়া হয় সুরক্ষার ছাড়পত্র। প্রায় ৬০ কোটি টাকা খরচা করে দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। এ দিন সেই স্কাইওয়াকেরই উদ্বোধন করেন মমতা।

২০১৫ সালের মাঝামাঝি দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, কাজ শুরু হতেই পুরনো রাস্তার দু’ধারের দোকানদারদের বাধার মুখে পড়তে হয় প্রশাসনকে। এর পরে আইনি জটিলতা কাটিয়ে ওই বছরের শেষের দিকে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয়।

পার্কস্ট্রিটের এপিজে হাউসে আগুন

এ দিন স্কাইওয়াক উদ্বোধন করার পর মমতা জানিয়েছেন, কালীঘাট মন্দিরের পরিচালন সমিতি চাইলে তিনি সেখানেও স্কাইওয়াক তৈরি করে দিতে পারেন। তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের সুরাহার কথা ভেবে কালীঘাটে স্কাইওয়াক করা যেতে পারে। তাতে ওই মন্দিরে যাওয়া দর্শনার্থীদের সুবিধাই হবে। পাশাপাশি স্কাইওয়াক তৈরি হলে যে ডালাওয়ালা বা হকারদের কোনও সমস্যা হবে না সে কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা আরও জানিয়েছেন, স্কাইওয়াক তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তা দেখভালের দায়িত্ব নিতে হবে মন্দির কর্তৃপক্ষকে। ওই স্কাইওয়াক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য তিনি ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন, কামারহাটি পুরসভার তরফে যেন ৫০ জনকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নিয়োগ করা হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বলেন, “ববি তুমি দেখো, কামারহাটি পুরসভার আওতায় ৫০ জন একশো দিনের শ্রমিক নিয়োগ করে এই স্কাইওয়াক এবং মন্দির চত্বর যেন দু’বেলা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।”

এ দিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী উদ্বোধনের পর বলেন, ‘‘স্কাইওয়াক একটি জাতীয় সম্পদ। কলকাতা কেন, গোটা রাজ্য এমনকি সারা দেশেও এ রকম স্কাইওয়াক কোথাও আছে বলে শুনিনি।’’

কেএমডিএ-র এক কর্তা জানিয়েছেন, স্কাইওয়াকের চার দিকে গাছ লাগিয়ে এলাকায় সবুজায়ন করা হয়েছে। আলোয় সাজানো স্কাইওয়াক রাতে এবং দিনের বেলা দেখতে দু’রকম লাগবে।