অজন্তা বিশ্বাস সিপিএমের শাস্তির মুখে, শনিবারের বৈঠকেই কি সিদ্ধান্ত

অজন্তা বিশ্বাস

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: অজন্তা বিশ্বাস সিপিএমের শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন। আগামী শনিবার দলের কলকাতা জেলা কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকেই অনিল বিশ্বাসের কন্যাকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, অজন্তা বিশ্বাস সাসপেন্ডের মুখে পড়তে পারেন। তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হতে পারে। তবে কত দিনের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে, তা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

অজন্তার লেখা ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ শীর্ষক চার কিস্তির উত্তর সম্পাদকীয় তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় প্রকাশিত হয়। তার শেষ পর্বে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশস্তিও ছিল। অজন্তা বিশ্বাস রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। শিক্ষক ও অধ্যাপকদের নিয়ে গঠিত সিপিএমের নির্দিষ্ট এরিয়া কমিটির সদস্যও তিনি। দলের সদস্য হয়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের মুখপত্রে লেখা যে ঠিক হয়নি, প্রতমেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। অধ্যাপকদের জন্য নির্দিষ্ট ওই কমিটি অজন্তাকে শো-কজের চিঠিও পাঠায়। তার প্রেক্ষিতে অজন্তা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে ওই এরিয়া কমিটি সন্তুষ্ট নয় বলেই দলীয় সূত্রে খবর। কমিটির মতে, শৃঙ্খলাভঙ্গের এমন ঘটনা অগ্রাহ্য করলে তা অন্যদের জন্য নজির তৈরি করবে। সেটা দলের পক্ষে মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়।

জাগো বাংলায় অজন্তার লেখায় শিরোনাম ও মুখবন্ধের পর তাঁর নাম লেখা ডঃ অজন্তা বিশ্বাস। মুখবন্ধের শুরুতেই লেখা বাসন্তীদেবী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লেখার শিরোনামের উপরে লেখা হয়েছিল, প্রাক্ স্বাধীনতা পর্ব থেকে সাম্প্রতিককালের ইতিহাসের চালচিত্রে বাঙালি মহিলাদের অবদান। সেই অবদানের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম এসেছে। অজন্তা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়ান। ইতিহাসের অধ্যাপক হিসাবেই তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় নারীশক্তির আন্দোলন এবং তাঁদের অবদানের ইতিহাসের কথা লিখেছেন। তাঁর লেখায় নাম এসেছে বাসন্তীদেবীর সঙ্গেই ঊর্মিলাদেবী, সুনীতিদেবী, সরোজিনী নাইডু, মোহিনী দাশগুপ্তদের। পরে তাঁর লেখায় মমতার উল্লেখও করেন অজন্তা।

সিপিএমের গঠনতন্ত্র বলে, কোনও পার্টি সদস্য দলবিরোধী কাজ করেছেন বলে যদি দল মনে করে তা হলে তাঁকে প্রথমে শো-কজ করা হয়। সেই জবাবে দল সন্তুষ্ট না হলে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই মেয়াদ ১ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে ৩ মাস বা ৬ মাসও মেয়াদ হতে পারে। তার পরেও কোনও সদস্য দলবিরোধী কাজ করলে দল তাঁকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করা হতে পারে। এমনকি বহিষ্কার করতে পারে দল। অজন্তার ক্ষেত্রে কী হবে, তা যদিও এখনও জানা যায়নি।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)