জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই কলকাতায় নির্বাচনের প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বার রাজ্যের কোভিডের বাড়বাড়ন্ত সামলাতে কোমর বেঁধে নামার প্রস্তুতি নিয়ে ফেললেন। প্রতিদিনই কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড গড়ছে দেশ থেকে রাজ্য সর্বত্র। সেই অবস্থায় পিছিয়ে নেই কলকাতাও। রবিবারই তা একদিনে আট হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। যার পর সোমবারই নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও তার মোকাবিলায় রাজ্যের আধিকারিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছে। সোমবার সকালে তিনি টুইট করে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন জনসাধারণের জন্য।
প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘ভারতে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার সব রকম যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পথেই এগোচ্ছে জনসাধারণকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। আমি প্রধনামন্ত্রীকে বাড়তি ওষুধ এবং টিকার প্রয়োজনের কথা জানিয়েছি।’’
I have also directed all the top officials to make elaborate arrangements & step up their efforts at every level to deal with #COVID19 situation in WB. The Chief Secretary along with key officials will be doing a Press conference at 2PM to discuss the details of the plan. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 19, 2021
দ্বিতীয় টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কোভিড পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার জন্য সব উচ্চপদস্থ কর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অন্যন্য অধিকর্তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।’’ জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে মিটিং করেছেন মুখ্যসচিব।
এর সঙ্গে এদিন শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হল সব স্কুল। মে মাসে গরমের ছুটি পড়ার কথা থাকলেও সেই ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হল। স্কুলে যেতে হবে না শিক্ষিক-শিক্ষিকাদেরও। কিছুদিন আগেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত স্কুল খুলেছিল রাজ্য। তবে কবে থেকে আবার স্কুল চালু হবে তা নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
করোনা প্রসঙ্গে মমতার সাংবাদিক সম্মেলন
- বন্ধ করা হয়েছে স্কুল, এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে গরমের ছুটি
- মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে
- অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী এনে বাকিটা ওয়ার্কফ্রম হোম করা
- করোনার জন্য রাজ্য জুড়ে চলবে ৪০০ অ্যাম্বুলেন্স
- ১০০টি হাসপাতালকে করোনার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে
- বেসরকারি ৫৮টি হাসপাতালকে এর আওতায় নেওয়া হয়েছে
- ২০০ সেফ হোমে তৈরি রাখা হয়েছে ১১ হাজার শয্যা
- সরকারি হোটেলে তৈরি করা হবে সেফ হোম
- কার্ফু কোনও কিছুর সমাধান নয়, রাত্রে কার্ফু করেও লাভ নেই, এখনই লকডাউনের পরিকল্পনা নেই
রবিবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৪১৯। সব মিলে রাজ্যে আক্রান্ত ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯২৭ জন। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে বেড বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে সঙ্গে আগের মতো প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকেও তৎপর হতে বলা হয়েছে।
এদিকে পুরো ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন যাতে কলকাতায় কোভিড মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়। এদিন আলোনায় রাজ্যে কোয়রান্টিন সেন্টার ও সোফ হোমের পরিমান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চিহ্নিত করা হয়েছে জায়গাও। তার মধ্যে রয়েছে, উত্তীর্ণতে ৫০০, আনন্দপুরে ৭০০ ও গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে ২০০ শয্যার সেফ হোম তৈরি করা হবে। রাজারহাটে প্রথমবার তৈরি করা হয়েছিল বিরাট সেফ হোম। সেটি আবার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)