প্রতি দিন রেকর্ড ভাঙছে করোনা, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ১,৩৪৪ জন!

প্রতি দিন রেকর্ড ভাঙছে করোনা

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: প্রতি দিন রেকর্ড ভাঙছে করোনা, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৪ জন! একসঙ্গে এত জন এর আগে কখনও রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হননি। গত সাত দিনে রাজ্যে সব মিলিয়ে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ২৮ হাজারের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যাও ন’শোর ঘর ছাড়িয়েছে। শনিবার প্রকাশিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে তেমনটাই জানানো হয়েছে।

গত শনিবারই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছিল। পরের দিন অর্থাৎ রবিবার তা ২২ হাজারে পৌঁছয়। পরের পাঁচ দিনে সেই সংখ্যাই ২৮ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরে রাজ্যে এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০-র কাছাকাছি ছিল। গত শনিবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন ৭৪৩ জন। এর পর থেকে প্রতি দিন আটশোর উপরে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার সেটাই হাজার ছাড়িয়ে যায়। শুক্রবার প্রায় বারোশো মানুষ আক্রান্ত হন। প্রতি দিন রেকর্ড ভাঙছে করোনা, শনিবার সেটা প্রায় সাড়ে তেরোশোয় পৌঁছেছে।


করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন

রেকর্ড আক্রান্তের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ২৬ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৯০৬। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৬ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কলকাতার ১৬ বাসিন্দা রয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও মারা গিয়েছেন ৫ জন। একই সঙ্গে হাওড়ায় ৪ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন করোনা আক্রান্ত মারা গিয়েছেন।

প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যে সুস্থতার হারও কিন্তু কমছে। শতাংশের হিসেবে সংখ্যাটা ৬৩.১১। গত কয়েক দিনে এই হার বেশ খানিকটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৫৯ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টাতেই ছাড়া পেয়েছেন ৬১১ জন। এখনও সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৫৮৮। তার মধ্যে কলকাতারই রয়েছেন ৩ হাজার ২৮০ জন।

স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিড টেস্ট হয়েছে মোট ৬ লক্ষ ৫ হাজার ৩৭০টি। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৪০৩টি টেস্ট হয়েছে। এ রাজ্যে ৫৮২টি সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্র রয়েছে। সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্র থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৬৩৪ জনকে ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি, ওই কেন্দ্রগুলিতে এখনও ৪ হাজার ৮০৫ জন রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)