প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, নন্দনে গরহাজির আচার্য

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনপ্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, অথচ হচ্ছে নন্দনে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, অথচ সেই অনুষ্ঠানে নেই আচার্য। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, অথচ সেখানে নেই এক জন ছাত্রছাত্রীও।

মঙ্গলবার ছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠান। কিন্তু, পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান এ বার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল না। নিয়ে যেতে হল নন্দন ৩ হলে। তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া।

এ দিন নন্দন ৩ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর উপস্থিতিতে ডিএসসি দেওয়া হল বিজ্ঞানী সি এন আর রাও এবং ডিলিট দেওয়া হল অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বলেন, ‘‘এ ভাবে সমাবর্তন করতে হচ্ছে, দয়া করে এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আমাদের সঙ্গে সকলেই ধৈর্য ধরবেন।’’ আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী অনুষ্ঠানে না থাকায় এ দিনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ের প্রশংসা করেন। সৌমিত্র অভিনীত একাধিক সিনেমার কথাও বলেন। তার পরেই ঢুকে পড়েন হিন্দু হস্টেল প্রসঙ্গে।

ভারতীয় ক্রিকেট দখল করেছে দেশীয় সংস্থা, মুখ ফেরাচ্ছে বিদেশিরা

এই হিন্দু হস্টেল নিয়েই বেশ কিছু দিন ধরে উত্তাল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। হিন্দু হস্টেলে বেশ কিছু দিন ধরেই সংস্কারের কাজ চলছে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও হস্টেল সংস্কারের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তা নিয়ে পড়ুয়াদের একাংশ প্রবল ক্ষুব্ধ। সোমবার তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে আন্দোলন শুরু করে। পড়ুয়া ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে। গেটের বাইরে থেকেই ফিরে আসতে হয় উপাচার্য, রেজিস্টার-সহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। তার পরেই ওই দিন রাতে ঠিক হয়, সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে নন্দন ৩-এ।

এ দিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গ টেনে এলে উপাচার্য জানান, ওই হিন্দু হস্টেল ১৩০ বছরের পুরনো। তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পড়ুয়ারা হস্টেল মেরামতির দাবি তুলতেন। তার জেরেই হস্টেল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেন অনুরাধা লোহিয়া। কিন্তু, সেটা করতে সময় লাগছে। পূর্ত দফতর সংস্কারের কাজ করছে। তাঁর মতে, পড়ুয়ারা হিন্দু হস্টেলে থাকতে আসেননি। প্রেসিডেন্সিতে পড়তে এসেছেন। থাকার আরও জায়গা রয়েছে। কিন্তু ওই বিশেষ হস্টেলটাই পড়ুয়াদের চাই। তাঁর প্রশ্ন, এটা কি যুক্তি সঙ্গত? কেন পড়ুয়ারা এত মরিয়া?

সাম্মানিক ডিলিট পাওয়ার পর অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানান, বিষয়টি কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের ব্যাপার। তাঁদেরই মিটিয়ে ফেলা উচিত।