শুভেন্দু অধিকারীকে তলব সিআইডি-র, প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু-মামলায়

Nandigram

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীকে তলব সিআইডি-র, প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু-মামলায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে আগামী সোমবার রাজ্য গোয়েন্দা দফতর ডেকে পাঠিয়েছে। শুভেন্দু তখন তৃণমূলে। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীও। ২০১৮-র ১৩ অক্টোবর। সকাল ১১টা নাগাদ কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে মাথায় গুলি লেগে গুরুতর জখম হন শুভব্রত চক্রবর্তী ওরফে বাপি নামে এক পুলিশ কর্মী। তিনি রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী শুভেন্দুর দেহরক্ষী ছিলেন। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পর দিন তাঁর মৃত্যু হয় সেখানেই। সম্প্রতি শুভব্রতের স্ত্রী সুপর্ণা চক্রবর্তী তাঁর স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই সিআইডি তদন্ত করছে। সেই মামলাতেই শুভেন্দু অধিকারীকে তলব সিআইডি-র এ বার।

কাঁথি থানায় নিজের অভিযোগপত্রে সুপর্ণা একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন। স্বামীর মৃত্যুর রহস্যের পিছনে প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটনের দাবিও করেন তিনি। সুপর্ণার এফআইআরের ভিত্তিতে খুনের মামলাও রুজু করে কাঁথি থানার পুলিশ। সুপর্ণার অভিযোগের ভিত্তিতে কাঁথি থানায় ৩০২ এবং ১২০বি ধারায় এফআইআর দায়ের হয়। রাজ্য পুলিশের আর্মড ফোর্সের কর্মী ছিলেন সুপর্ণার স্বামী শুভব্রত। মৃত্যুর আগের ৬-৭ বছর তিনি শুভেন্দুরই দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, গুলি লাগার ঘটনার পর ওই দিন কাঁথি হাসপাতালে জখম অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। সকাল ১১টায় গুলি লাগার ঘটনা ঘটে। আর রাতে শুভব্রতকে কাঁথির হাসপাতাল থেকে একটি আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স করে কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই ঘটনার পর প্রায় আড়াই বছর কেটে গেলেও এ নিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের বাসিন্দা সুপর্ণা। তবে স্বামীর মৃত্যুর রহস্য সমাধানের জন্য তিনি পুলিশের কাছে আবেদন করেন। অভিযোগপত্রে সুপর্ণার প্রশ্ন, ‘‘প্রথম থেকে স্বামীর মৃত্যু নিয়ে আমার মনে সন্দেহ ছিল। আমি কখনওই উত্তর পেলাম না শুভেন্দু অধিকারীর সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করা সত্ত্বেও আমার স্বামী কেন গুলিবিদ্ধ হলেন? চিকিৎসার জন্য আমার স্বামীকে কলকাতায় স্থানান্তরণে কেন দেরি করা হল?’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী সেই সময় জেলায় ও রাজ্যে এক জন শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন। ওঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পেয়েছিলাম। দুই মেয়েকে নিয়ে থাকি। তাই কাউকে কিছু বলে উঠতে পারিনি। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায় বিচার পেলেও পেতে পারি।’’

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)