বড়দিনের কলকাতা: শীতের রাজ্যে ভিড়ঠাসা শহর উৎসবময়

বড়দিনের কলকাতাবড়দিনের কলকাতা। ছবি: ময়ূখ বিশ্বাস।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বড়দিনের কলকাতা রীতি মতো উৎসবে মেতে উঠেছে। পার্ক স্ট্রিট থেকে ইকো পার্ক, ভিক্টোরিয়া থেকে চিড়িয়াখানা— সর্বত্রই ভিড়ে ঠাসা। সেই সঙ্গে রাজ্য জুড়ে জাঁকিয়ে শীত। সব মিলিয়ে বড়দিনে খুশির প্রাণ গড়ের মাঠ।

কয়েক দিন পরেই বর্ষবরণ। তার আগে বড়দিন যেন এই শহরে কাছে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ। সেই ম্যাচ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে। রাত ১২টাতেই সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে প্রার্থনাসভা আয়োজিত হয়। সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে থেকেই যদিও পার্ক স্ট্রিটে ভিড়ের ঢল নামে। এমনিতে বছর শেষের এই সময়টায় আলোর সাজে সেজে ওঠে গোটা পার্ক স্ট্রিট চত্বর। বড়দিনের আগের রাত থেকে বাড়তি সাজ পরে নেয় সে। চলে সেই নতুন বছরের প্রথম কয়েক দিন পর্যন্ত। মধ্য রাতে ভিড় জমেছিল বউবাজারের বো ব্যারাকেও।


রাজ্যের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

বুধবার বড়দিনের ছুটি বেশির ভাগ জায়গাতেই। সকাল থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে শহরের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য জায়গায়। চিড়িয়াখানা থেকে ভিক্টোরিয়া, ইকো পার্ক থেকে মিলেনিয়াম পার্ক, খুদে থেকে বয়োজ্যেষ্ঠদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মচো। মাথায় সান্টার লাল টুপি, হাতে কমলা লেবু, মোয়া— এক এক জায়গায় ভিড়ের এক এক চিত্র। সেই ভিড় উপচে এসে পড়েছে ধর্মতলা, নিউমার্কেট চত্বরেও। ভিড় দেখা গিয়েছে মেট্রোতেও।

তার মধ্যেই এ দিন পারদ আর এক প্রস্ত নেমেছে। শহর কেঁপেছে ঠান্ডায়। এ দিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের থেকে যা ১ ডিগ্রি কম। রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও তাপমাত্রা বেশ নীচের দিকে। দার্জিলিঙে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বালুরঘাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৪, কোচবিহারে ৭.৭, দমদম ১৩.০, দিঘা ১৩.২, কালিম্পং ৫.০, পানাগড় ১০.৭, পুরুলিয়া ১১.৪ এবং শিলিগুড়িতে ছিল ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উৎসবের শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে ‘ওয়ারিয়র্স’ নামে সশস্ত্র এক প্রমীলা বাহিনী নামানো হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই ওই বাহিনীর সদস্যদের ভিক্টোরিয়া, পার্ক স্ট্রিটের মতো জনবহুল এলাকায় ডিউটি করতে দেখা গিয়েছে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতের মতো বিশেষ দিনে অনেক সময়েই মহিলারা আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যায় পড়েন। পুরুষ পুলিশকর্মীদের পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না বহু ক্ষেত্রেই। মহিলা কমব্যাট বাহিনী থাকলে সেই পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন লালবাজারের কর্তারা। তাই মূলত বড়দিন, বছর শেষের দিনে যেখানে মহিলাদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো তেমন জনবহুল এলাকায় থাকবে ওয়ারিয়র্স।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)