জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বদল চলছেই, মন্ত্রিসভা থেকে পুলিশ-প্রশাসন, রাজ্যের সর্বত্রই রদবদল। সোমবার পাঁচ জেলার পুলিশ সুপার এবং মঙ্গলবার তিন দফতরের মন্ত্রী বদলের পর বুধবার ফের রদবদল। এ দিন চার মন্ত্রীর দফতর বদলের সঙ্গেই বদলি হয়ে গেলেন আট জেলার জেলাশাসক। একই সঙ্গে বদলি হলেন সাত জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকও।
বুধবার নবান্নের বিবৃতি থেকে জানা যাচ্ছে, সেচ দফতরের দায়িত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে নিয়ে দেওয়া হয়েছে সৌমেন দাস মহাপাত্রকে। সেচের বদলে সদ্য মন্ত্রীত্ব হারানো চূড়ামণি মাহাতোর অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের ভার পেয়েছেন তিনি। কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরিবেশ দফতরের ভার লাঘব করে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তা দেওয়া হয়েছে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকেরও। আইন-বিচার-শ্রমের পাশাপাশি এ বার তিনি দেখবেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরও। পঞ্চায়েতের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে ওই দফতর আগে দেখতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আর জেমস কুজুরের আদিবাসী আদিবাসী কল্যাণ দফতরের ভার নিজেই হাতেই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি এ দিন বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, হুগলি, বাঁকুড়া এবং আলিপুরদুয়ারের জেসাশাকের বদলির নির্দেশ জারি হয়েছে। একইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, মালদহ, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাককেও বদলি করা হয়েছে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রদবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল শাসক দলের অন্দরে। মঙ্গলবারই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তিন মন্ত্রীকে। অপসারিত দুই মন্ত্রী জেমস কুজুর এবং চূড়ামণি হাঁসদা পদ খুইয়েছিলেন তাঁদের এলাকায় তৃণমূলের খারাপ ফল হওয়ার জন্য। আর শারীরিক কারণে মন্ত্রিত্ব থেকে সরতে হয় মন্ত্রী অবনী জোয়ারদারকে।
আবারও এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার পুরুলিয়ার, এ বার পুলিশ সুপার বদল
২০১৬ সালে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম বিধানসভা থেকে জিতেছিলেন কুজুর। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেমসের কেন্দ্রে ভাল ফল করেছে বিজেপি। তারপরই তাঁকে সরতে হল। অন্য দিকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি হাঁসদার কাজকর্মে দলের শীর্ষ স্তরে অসন্তোষ ছিল। ঝাড়গ্রামে তো বটেই, এমনকি চূড়ামণির কেন্দ্রেও খারাপ ফল করেছে তৃণমূল। তার পরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার পাঁচ জেলার পুলিশ সুপারদের বদলি করা হয়। তাঁদের মধ্যে চার জন আর কোনও জেলার দায়িত্ব পাননি। ভোটে যে চার জেলায় তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে, মূলত সেখানকার পুলিশ সুপারদেরই সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই দিন পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম, আলিপুরদুয়ার এবং উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে।