রুট মার্চ কলকাতায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী কথা বলল সাধারণ মানুষের সঙ্গে

রুট মার্চ কলকাতায়রুট মার্চ কলকাতায়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রুট মার্চ কলকাতায়, সৌজন্যে লোকসভা নির্বাচন। শনিবার বিকেলে শহরের বৌবাজার, মানিকতলা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, চিৎপুর, নিউ আলিপুর, চেতলা, উল্টোডাঙা-সহ বিভিন্ন জায়গায় রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিউটাউন-রাজারহাট-বিধাননগর এলাকাতেও এ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা গিয়েছে।

সব জায়গাতেই বিএসএফ জওয়ানদের দেখা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ওই সমস্ত এলাকার থানাগুলোর অফিসারেরা। কিন্তু, শহরের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে তো ভোট এখনও দু’মাস বাকি। ১৯মে কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ লোকসবা কেন্দ্রে নির্বাচন। তা হলে এত আগে থেকে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে এলাকা? কেন্দ্রীয় ওই বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ভোটারদের মনোবল বাড়াতেই তাঁরা টহল দিচ্ছেন।

প্রথম দিনই তাঁদের শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট চেনানো হয়েছে। স্থানীয় তানার অফিসাররাই চেনানোর কাজটি করেছে‌ন। উর্দি এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই রুট মার্চ কলকাতায় হয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন ওই জওয়ানরা। কোথাও কোনও সমস্যা আছে কি না সে সব ব্যাপারেও খোঁজখবর নিয়েছেন তাঁরা।

ভোটের আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এ দিন রাস্তায় যখন রুট মার্চ করছেন বিএসএপ জওয়ানরা, তখন ছোট থেকে বড়— সকলেই তাঁদের সঙ্গে এসে কথা বলেছেন। জওয়ানদের মুখেও হাসি দেখা গিয়েছে। তাঁরা এলাকার লোকজনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। অনেকে জওয়ানদের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। এই প্রথম লোকসভা ভোটের এতটা আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠানো হল শহরে। এ দিন বিকেলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় হাতে বন্দুক নিয়ে জওয়ানদের রুটমার্চ করতে দেখে ঘাবড়েও গিয়েছে‌ন অনেকে।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্যের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি থেকে উড়ে এসেছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ জৈন। জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনের আগেই ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে গোটা রাজ্যে।

এ দিন সকালে শহরে পৌঁছনোর পর রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার। সেখানে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন সিপিএমের রবীন দেব, কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ অনেক নেতা।

সেই বৈঠকে বিরোধী সব দলই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে সওয়া‌ল করে। একই সঙ্গে রাজ্যের সব বুথকে সংবেদনশীল আখ্যা দিয়ে ভোট করানোর দাবিও জানানো হয়। তবে নির্বাচন কমিশন সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদিও বৈঠক শেষে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, “নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে বিরোধী দলগুলি ছল-চাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে।”

তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, রয়েছে মিমি-নুসরত-দেবের নাম

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)