কানাড়া ব্যাঙ্ক এটিএম-এ হাজার হাজার টাকার প্রতারণা

কানাড়া ব্যাঙ্ক এটিএম

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কানাড়া ব্যাঙ্ক এটিএম কার্ড গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎই উধাও হাজার হাজার টাকা। এমনটা অতীতেও ঘটেছে। তবে সেটা হয়েছিল দিল্লিতে। এ বার সেই ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার কলকাতার একাধিক মানুষ। দক্ষিণ কলকাতা থেকেই একাধিক অভিযোগ এসেছে। যেখানে গণহারে হয়েছে ব্যাঙ্ক প্রতারণা। গ্রাহকরা জানতেও পারছেন না কখন তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সেই তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন গড়িয়াহাট, লেক গার্ডেন্স এলাকার কানাড়া ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা।

কী ভাবে ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা তা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি ব্যাঙ্ক ও গ্রাহকরা। এক গ্রাহক জানিয়েছে, হঠাৎই তাঁর মোবাইলে একটি বার্তা আসে যেখানে লেখা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে। অবাক হয়ে নিজের এটিম কার্ড খুঁজে দেখেন তা তাঁর কাছেই রয়েছে। তা হলে কী ভাবে তাঁর এটিএম কার্ডে তাঁর অ্যাকাউন্ট তেকে তুলে নেওয়া হল টাকা।

পর দিন সকালেই ব্যাঙ্কে গিয়ে অভিযোগ জানান সেই ব্যাক্তি। তখন উঠে আসে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা যায় ২০ হাজার টাকা তোলারই তথ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছেছিল। কিন্তু তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়েছে আরও ২০ হাজার। মোট ৪০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে সেই ব্যাক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। দ্বিতী। ২০ হাজারের বার্তা আবার তাঁর কাছে এসে পৌঁছয়নি। ব্যাঙ্কের গড়িয়াহাট শাখা, যেখানে তাঁর অ্যাকাউন্ট ছিল সেখানে অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে গড়িয়াহাট থানায় ও লালবাজারেও অভিযোগ জানিয়েছেন সেই ব্যাক্তি।

ঘুম উড়েছে অসমবাসীর, প্রশ্ন উঠছে তাঁরা আসলে কাঁরা?

তবে শুধু তিনি নন, এই তালিকায় রয়েছেন আরও অনেকে। আর সবাই দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। এবং সকলেই কানাড়া ব্যাঙ্কের। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার, সমস্যাটা হচ্ছে ব্যাঙ্কেরই। গড়িয়াহাট থানা ছাড়াও অভিযোগ দায়ের হয়েছে রবীন্দ্র সরোবর থানাতেও। মোট অভিযোগের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৩৫। তা যে বাড়তে পারে তেমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন তারা। ব্যাঙ্কের তরফ দাবি করা হয়েছে এর পিছনে রয়েছে কার্ড ক্লোনিংয়ের মতো বিষয়। তাদের মতে, যে সব এটিএম-এ বেশি সংংখ্যক মানুষ টাকা তোলে সেখানে প্রতারকরা কার্ড স্কিমিং ডিভাইস ব্যবহার করে তারা নতুন কার্ড বানিয়েছে। আর সেই কার্ড ব্যবহার করেই চলছে টাকা তোলার কাজ।

কী ভাবে হয় এই কার্ড ক্লোনিং?

ব্যাঙ্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুশোভন মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটিএম মেশিনে যেখানে কার্ড সোয়াইপ করা হয় সেখানেই একটা যন্ত্র লাগিয়ে রাখা হয়। যখনই কার্ড সোয়াইপ হয় তখনই কার্ডের যাবতীয় তথ্য রেকর্ড হয় স্কিমিং ডিভাইসে।” এমনটা জানা গিয়েছে কানাড়া ব্যাঙ্কের তদন্তে। আপনার কার্ড আপনার কাছেই আছে ভেবে যখন আপনি নিশ্চিন্ত তখনই আপনার চোখে ধুলো দিয়ে লোপাট হয়ে যাচ্ছে আপনার কষ্টের পুঁজি।