বিজেপি বিরোধী ব্রিগেডে স্বস্তিতে মমতা, বললেন, ‘মোদীবাবুর এক্সপায়ারি ডেট এসে গিয়েছে’

বিজেপি বিরোধী ব্রিগেডে স্বস্তিতে মমতা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিজেপি বিরোধী ব্রিগেডে স্বস্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিজেপি দলগুলির যে ক’জন শীর্ষ নেতাকে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই শনিবার হাজির হয়েছেন কলকাতায়। শুধু হাজিরাই নয়, একের পর এক নেতা তাঁদের ক্ষুরধার বাক্যে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকে। ‘অকর্মণ্য মোদী’র বিরুদ্ধে দেগেছেন একের পর এক তোপ। আর মমতাকে এমন বিজেপি বিরোধী সমাবেশ আয়োজন করার জন্য দিয়েছেন অকুণ্ঠ ধন্যবাদ। কাজেই এমন এক মেগা র‌্যালির আয়োজক হিসাবে স্বস্তিতে তো থাকতেই পারেন মমতা।

এ দিন বিজেপি বিরোধী ব্রিগেড সমাবেশের শেষ বক্তা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগে ভাষণ দিয়েছেন একের পর এক নেতা। তাঁদের সকলেরই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী হিসাবে পরিচিতি রয়েছে। কোনও কোনও দল বিজেপির জোট শরিক থাকলেও বর্তমানে বেরিয়ে এসেছেন এনডিএ থেকে। শত্রুঘ্ন সিন্‌হার মতো কোনও কোনও ব্যক্তি এখনও বিজেপিতে থেকেও বিক্ষুব্ধ হয়ে চলে এসেছিলেন মমতার সভায়।

শেষে ভাষণ দিতে উঠে মমতা প্রথমেই জানিয়ে দিলেন, ২৩-২৪টা দল ব্রিগেডের সভায় এসেছে। এর আগে দেশ যখনই বিপদে পড়েছে, বাংলা পথ দেখিয়েছে। সব আন্দোলনেই পথ দেখিয়েছে বাংলা। তাই এ বারও বিজেপির হাতে থমকে যাওয়া দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিরোধী-শিবিরকে একজোট করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল।

বিজেপিকে সরাতে ব্রিগেড, বিরোধীরা তুলল স্লোগান, ‘মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাও’

এর পরেই মমতা কটাক্ষ করে বললেন, ‘‘বাজারে লেগেছে আগুন, জাগুন মানুষ জাগুন।’’ শোনালেন, ‘‘সবেতেই ধস, শুধু বিজেপি বস।’’ মন্তব্য করলেন, ‘‘মোদীবাবুর এক্সপায়ারি ডেট এসে গিয়েছে।’’ মমতা বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বললেন, ‘‘চাষির ঘরে টাকা নেই। দেশে চাকরি নেই, তার আবার সংরক্ষণ। এনআরসি-র নামে মানুষ নিধন করছে। ওরা সব বদলে দিচ্ছে। সংবিধানও বদলে দিচ্ছে।’’

এর পরেই মমতার তোপ, ব্রিগেডের এই সভা থেকেই বিজেপির শেষের শুরু হল। তিনি বলেন, ‘‘ওরা হয় তর্জন, নয় গর্জন করে। অর্জন করতে পারে না। ফ্যাসিস্ট কায়দায় এমন ভাবে সরকার চালাতে দেখিনি।’’

কিন্তু এই বিরোধী জোটের মুখ কে? কে হবেন তাদের প্রধানমন্ত্রী? জবাবটা বেশ কড়া ভাবেই দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে যৌথ নেতৃত্ব ভীষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কে নেতা হবে? এত নেতা রয়েছে, কেউ এক জন হবেন। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, এখন ভাবার দরকার নেই। নির্বাচন শেষে আমরা সবাই মিলে বসে ঠিক করব।’’

(বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)