বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুন টিটাগড়ে, রাজনৈতিক পারদ চড়ছে রাজ্যে

বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুন টিটাগড়ে, আর সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ চড়ছে। রবিবার রাতে বিটি রোডের উপর খুব কাছ থেকে একের পর এক গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা-কে। সেই খুন ঘিরেই রাজ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় মণীশের দেহের ময়নাতদন্তের পর তা নিয়ে যাওয়া হয় রাজভবনের দিকে। কিন্তু অনুমতি না মেলায় দেহ নিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা ফিরে যান ব্যারাকপুরে।

বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা-কে খুনের প্রতিবাদে এ দিন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা জুড়ে বন্‌ধের ডাক দেয় বিজেপি। সেই বন্‌ধ ঘিরে সংঘর্ষ, আগুন, পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে কাঁদানে গ্যাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে। মণীশের বাড়িতে এ দিন যান বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পরে সন্ধ্যায় মণীশের বাবাকে নিয়ে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ দেখা করতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে।

এ দিন ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মণীশের দেহে ১৪টি বুলেটের ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের একাংশের দাবি, ৭ এমএম পিস্তলের গুলি ওগুলো। গোটা ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডিকে। এ দিন তারা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক আততায়ীকে শণাক্ত করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

এর আগে চার বার মণীশের উপরে হামলা চালানো হয়। এক বার গুলি চালানোর জন্য দুষ্কৃতীরা ট্রিগারে চাপ দিলেও ব্যারেলে তা আটকে যায়। ফলে মণীশ বেঁচে যান। এর আগে বামফ্রন্টের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মণীশের। তার পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। পরে বিজেপিতে।

এ দিন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুন-এর ঘটনায় বিজেপির ঘাড়েই দোষ পক্ষান্তরে দোষ চাপিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ওই দিন কেন মণীশের দেহরক্ষী ছুটিতে ছিল, কেন স্থানীয় সাংসদ মণীশের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন, কেন মণীশ টিটাগড় ফিরলেন, এ সব প্রশ্ন তুলেছেন। অর্জুনও তার পাল্টা বলেছেন। ব্যারাকপুরের সাংসদের দাবি, মানুষ এর জবাব দেবে ফিরহাদকে।

এ দিন দুপুর থেকেই বিজেপি নেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা-র ময়নাতদন্ত হয়। কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শুরু করে অরবিন্দ মেনন, অর্জুন সিংহ, সব্যসাচী দত্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা হাসপাতালের মর্গের দিকের গেটে ছিলেন। পরে চার বিজেপি নেতা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মণীশের বাবাকে সঙ্গে নিয়ে।

(বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)