বিজয়া দশমী একেবারে অন্য রকম, কলকাতায় দুর্গাবরণও পিপিই পরে

বিজয়া দশমীপিপিই পরে দুর্গাবরণ

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বিজয়া দশমী একেবারে অন্য রকম এ বার। অন্যান্য বারের সঙ্গে কোনও মিলই যেন নেই। করোনা আবহে এমনিতেই নানা বিধিনিষেধ, তার উপর হাইকোর্টের নির্দেশ। সব মিলিয়ে বাঙালির চেনা বিজয়া দশমীর ছবি যেন উবে গিয়েছে। ঘাটে ঘাটে ভিড় নেই। মণ্ডপেও নেই সেই সিঁদুরখেলার হুল্লোড়। এমনকি বিজয়া দশমী-তে কোথাও কোথাও দুর্গাকে বরণ করা হল পিপিই পরে।

ঠাকুরপুকুর এসবি পার্ক সর্বজনীন। সেখানে অন্যান্য বছর বিজয়া দশমী-র দিন সিঁদুরখেলা হয়। মাকে সিঁদুরে-মিষ্টিতে বরণ করে জানানো হয় বিদায়। কিন্তু এ বার হাইকোর্টের নির্দেশ, মণ্ডপের ভিতরে সিঁদুরখেলা যাবে না। তাই পিপিই পরে ধুনুচি নাচেই এ বছরের মতো বিদায় জানাল হল দুর্গাকে। এলাকার মহিলারা পিপিই পরে দেবীকে বিদায় জানান। সঙ্গে ছিল ধুনুচি নাচ।


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

দক্ষিণ কলকাতার আর একটি পুজো মণ্ডপ ত্রিধারা সম্মিলনী। এই পুজো কমিটি এ বার কোনও প্রথাগত বিসর্জনের আয়োজন রাখেনি। মণ্ডপ চত্বরেই কৃত্রিম জলাশয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই জলেই পাইপ দিয়ে দুর্গামূর্তি ধুয়ে ফেলা হয়। মণ্ডপ চত্বরেই টাকুর গলিয়ে ফেলা হয় জল দিয়ে। পরে কাঠামো সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এমন পদ্ধতিতে প্রতিমা ‘নিরঞ্জন’ এর আগে হয়েছে, তবে বিপুল বড় আকারের মূর্তি হলে, তা বিসর্জনের জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার অসুবিধার কারণেই। কিন্তু এ বারের পরিস্থিতি অন্য। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বাইরে নিয়ে গেলে শোভাযাত্রার বন্দোবস্ত করা যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিল সরকার। তা ছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রচুর মানুষেরও প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা সম্ভব নয়। সেই কারণেই এ ভাবে প্রতিমা ‘বিসর্জন’ দেওয়া হয়েছে বলে ত্রিধারার তরফে জানানো হয়েছে।

অন্য দিকে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে বিসর্জন চলছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটেই প্রতিমা এসেছে। তবে ভিড় অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক কম। সকলের মুখেই মাস্ক পরার নির্দেশ রয়েছে। মাইক বা ডিজে বাজানোয় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কলকাতা পুরসভা এ দিন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার ২৪টি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন চলবে। এ দিন দেড় হাজারের আশপাশে প্রতিমা বিসর্জনের কথা রয়েছে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)