ঝড়বৃষ্টি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে, আগামী ২ দিন বদলাবে না আবহাওয়া

বঙ্গে আবার দুযোর্গ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ঝড়বৃষ্টি চলে এল হঠাৎ করে। আর তাতেই সাতসকালে থমকে গেল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একটা বড় অংশ।

বৃষ্টিটা শুরু হয়েছিল রবিবার রাত থেকেই। কিন্তু, মাঝরাতে হঠাৎ করেই উঠল ঝড়। ঘড়িতে তখন ৩টে ৫৫। মিনিটখানেক পরেই থেমে যায় সে ঝড়। কিন্তু, বৃষ্টিটা চলতেই থাকে। পড়তে থাকে শিলাও। আধ ঘণ্টার মধ্যে আবার ঝড়। তার গতিবেগ আরও বেশি। ঘড়িতে তখন ৪টে ২৫। আর এই দুই ঝড় এবং বৃষ্টিতে কার্যত বসন্ত ভেসে গেল। সোমবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, প্রথম ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৪ কিলোমিটার। দ্বিতীয়টি ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার গতিবেগে এসেছিল। অনেকটা ঠিক কালবৈশাখীর কায়দাতেই ওই দু’টি ঝড় কার্যত লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।

কিন্তু এমন অসময়ে কেন এল কালবৈশাখীর মতো এমন ঝড়? আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম থেকে বয়ে আসা হিমশীতল জলীয় বাতাস এবং বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা গরম জলীয় বাতাস— এই দুই বিপরীতমুখী হাওয়া মিলেই ঝাড়খণ্ডের আকাশে বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ তৈরি করেছে। দু’টি বড় মাপের মেঘপুঞ্জ তৈরি হওয়ায় আধ ঘণ্টার ব্যবধানে কালবৈশাখীর মতো ওই দুই ঝড় হয়েছে।

তবে এখানেই শেষ নয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। তবে ওই দিন থেকেই উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং এবং তরাই এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।

শ্রীনগরে তুষারধসে নিখোঁজ ১০, প্রবল শিলাবৃষ্টি দিল্লি-নয়ডায়

এ দিনের ঝড়বৃষ্টিতে কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও জল জমে যায়। কোথাও ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। বালিগঞ্জে একটি গাড়ির উপর ভেঙে পড়ে বাঁশের কাঠামো। সকাল থেকেই কলকাতা পুরসভার কর্মীরা রাস্তা থেকে গাছ সরাতে নেমে পড়েন।

রেল সূত্রে খবর, খারাপ আবহাওয়ার জন্য শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনের বেশ কিছু জায়গায় ট্রেন চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। শিয়ালদহ ডিভিশনে বাতিল করা হয় ছ’টি ট্রেন। পাশাপাশি ৫১ জোড়া ট্রেন দেরিতে ছাড়ে। বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে আটকে থাকে রানাঘাট, বারাসত, বনগাঁ, ডানকুনি, লক্ষ্মীকান্তপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার শাখার ট্রেন। খড়দহে ছিঁড়ে পড়ে ওভারহেডের তার।

তবে এই ঝড়বৃষ্টির ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর শোনাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ঝড়বৃষ্টি থামলে উত্তুরে হাওয়া ঢুকে রাজ্যের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

(বাংলার আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন)