পঞ্চায়েত নির্বাচন, ভোট না হোলি, বোঝা দায়!

পঞ্চায়েত নির্বাচন, ভোট না হোলি, বোঝা দায়

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: পঞ্চায়েত নির্বাচন, ভোট না হোলি, বোঝা দায়! সোমবার সকাল থেকে রাজ্যের ২০টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন চলছে। কিন্তু ভোট শুরু হওয়ার পর বেলা যত গড়িয়েছে, ততই বাংলার মাটিতে গড়িয়েছে রক্ত। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বেলা ১টা পর্যন্ত প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এ দিন বিকাল পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, এ দিন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে মহিউদ্দিন মহালত, নদিয়ার শান্তিপুরে সঞ্জীব প্রামাণিক, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় আবু তৈবুর গায়েন, দক্ষিণ ২৪ পরগলার কুলতলির মেরিগঞ্জে আরিফ আলি গাজি এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তপন মণ্ডল এবং নাকাশিপাড়ায় ভোলা দফাদার নামে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে দুই সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এবং নওদায় দু’জন মারা গিয়েছেন।

 উত্তপ্ত ভাঙড়। গোটা দিনই উত্তপ্ত থাকল এলাকা

খুন বাদেও রাজ্যে একাধিক জায়গায় জখম হয়েছেন প্রচুর মানুষ। কোচবিহার উত্তর বিধানসভার গোপালপুরে শাসকদলের মারে এক সাধারণ ভোটারের মৃত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরামবাগের আরান্ডিতে এক তৃণমূল সমর্থককে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সবংয়ের বলপাইয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে পিস্তল দেখিয়ে ভোট লুঠের অভিযোগ ওঠে। তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সামসেরগঞ্জে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা পিস্তল দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বাগদার আমডোবে ব্যালট লুঠের অভিযোগ ওঠে।

পঞ্চায়েত নির্বাচন, ভোট না হোলি, বোঝা দায়

জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যালট বাক্স পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগও ওঠে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকে ব্যালট ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। হুগলির খানাকুলের রাউতখানা পাত্রপাড়ার একাধিক বুথে ভোটের সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়। জামবনি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ৮ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী গোপাল মালাকার কে বুথে ভোট দিতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ। তাঁর বুথ এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পান্ডুয়ায় তৃণমূলের লোকজনেরা সিপিএমের এজেন্টকে মারধর করে বলে অভিযোগ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনার পাশাপাশি ভাঙড়ে জমি কমিটির প্রার্থীকে অপহরণ করে মারধরের অভিযোগ ওঠে।

বিরেোধীরা প্রথম থেকেই ভোটের দিনের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছিল। আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিল তারা। আদালত গোটাটাই কমিশনের উপর ছেড়ে দেয়। নিরাপত্তা নিয়েও তারা কমিশনকে সতর্ক করে। এমনকী, নিরাপত্তার গাফিলতিতে কারও মৃত্যু বা ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায়িত্ব রাজ্যের উপরেই বর্তায় বলে জানিয়ে ছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও বিকাল পাঁচটায় ভোট শেষ হওয়ার আগে নবান্ন থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।