বালির স্তুপের নিচে বিবস্ত্র তরুণীর দেহ, স্বামীর সামনেই আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ

বালির স্তুপের নিচে বিবস্ত্র তরুণীর দেহ

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বালির স্তুপের নিচে বিবস্ত্র তরুণীর দেহ উদ্ধার, যা ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ায়। মঙ্গলবার এই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয় কালীনগর ফারুক সাহেবের মোড়ে। খবর যায় স্থানীয় থানা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্থানীয়দের ধারনা ধর্ষণ করে প্রমান লোপাটের লক্ষ্যেই এভাবে বালির স্তুপের নিচে দেহটিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে জলবহুল এই এলাকায় কী করে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয়রা। সেইঈ তরুণী যে এলাকার নন তা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা।

এদিন সকালে এক প্রাতভ্রমণকারীর প্রথমে সন্দেহ হয় বালির নিচে কেউ চাপা পড়ে রয়েছে। তিনিই আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। এর পর সকলে মিলে বালি সরিয়ে এই তরুণীর দেহ দেখতে পান। তার পরই জানা যায়, সোমবার সকালেই এই মহিলাকে ওই এলাকায় প্রথম দেখা গিয়েছিল। তিনি রাস্তার পাশের একটি দোকানে গভীর রাত পর্যন্ত নাকি শুয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে তখনই কেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না বা‌ পুলিশকে জানানো হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এলাকার অনেকেই আবার জানাচ্ছেন, এই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘুরে ঘুরে বেড়াতেন এদিক সেদিক। যার ফলে আরও একটি মত উঠে আসছে এই তরুণীকে স্থানীয়রা অনেকেই চিনতেন। এবং তাঁর এই মানসিক ভারসাম্যহীনতার সুযোগ নিয়েই তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। কিন্তু তাঁকে খুন করা হল কেন? তাহলে কি এমন কেউ কেউ এর পিছনে রয়েছে যাদের এই তরুণী চিনতেন। যে কারণে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। এর পিছনে কারা থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে পুলিশ এখনও কিছু জানায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই নিশ্চিচ হওয়া যাবে।

এদিকে মন্তেশ্বর থানা এলাকায় স্বামীর সামনেই এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ভোররাতে বরুনা এলাকার খালপাড়ে একটি ট্রাক্টরের ট্রলির নিচে ওই মহিলাকে পরে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তখন তাঁর স্বামী তাঁর মুখে জল দিচ্ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তখন জিজ্ঞাসাবাদ করায় স্বামী জানান, রবিবার রাতে তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি হয়। বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধোর করা হয়। বাজার থেকে স্ত্রীর ফিরতে দেড়ি হওয়ায় খুঁজতে বেরিয়েছিলেন স্বামী। তখনই দেখেন তাঁর স্ত্রীর উপর শারীরিক অত্যাচার চালাচ্ছে কয়েকজন। স্থানীয়রাই পুলিশকে জানায়। পুলিশ মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)