জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিজেপির বাংলা বন্ধ বুধবার, আর সেই কর্মসূচি ব্যর্থ করতে পথে নামছে প্রশাসন। নামছে শাসক দল তৃণমূলও।
উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটে দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই বন্ধ নিয়েই ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করছে রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে রয়েছেন। কিন্তু, সেখান থেকেই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন জনজীবন সচল রাখতে হবে। কোনও ভাবেই রাজ্যে বন্ধ বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই নবান্নে বৈঠকে বসে তাঁর ঠিক করে দেওয়া মন্ত্রিগোষ্ঠী। সেই বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে কোনও মূল্যে জনদীবন স্বাভাবিক রাখতে হবে।
মন্ত্রিগোষ্ঠীর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ একাধিক পুলিশ কর্তা। সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীর কাছে নির্দেশ যায়, অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েনের জন্য। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বন্ধের দিন শহরের রাস্তায় প্রায় ৪ হাজার অতিরিক্ত কর্মী থাকবেন। পথে নামবেন ২১ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। বাহিনীর কর্মীরা সারা ক্ষণই রাস্তায় টহল দেবে। এ ছাড়া পুলিশ পিকেটিং-এরও ব্যবস্থা থাকবে। কোথাও যাতে কোনও বন্ধ সমর্থক জোরাজুরি করতে না পারেন, সে দিকে খেয়াল রাখা হবে বলেও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে বন্ধের দিন পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা থাকে। সব জেলাতেই অতিরিক্ত বাহিনী পথে নামবে।
অপরাধীদের সংসদ থেকে দূরে রাখতে আইন প্রনয়ণ করতে বলল শীর্ষ আদালত
ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ খুলে রাখার নির্দেশে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অশোক হল গোষ্ঠীর তিনটি স্কুল আগামিকাল বন্ধ রাখা হয়। তা নিয়েও খোঁজখবর করে সরকার সেই স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর। এ বাদে রাজ্যের যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধের দিন পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেখানেও পরীক্ষা চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, গোটা রাজ্যে প্রায় আড়াই হাজার বাস চালানো হবে। পাশাপাশি থাকবে ৬০টি লঞ্চও। এর আগেই জানানো হয়েছিল, বন্ধের দিন রাস্তায় নামা কোনও গাড়ি ভাঙচুর হলে তার ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য পরিবহণ দফতর।
এ দিন রাজ্য সরকারের তরফে যেমন বন্ধ বিফল করার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, তেমনই বন্ধ সমর্থন করতে অনুরোধ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ দিন উত্তরবঙ্গে ছিলেন। সেখানকার জনসভা থেকে তিনি বারেবারেই এ রাজ্যের শাসক দলকে উৎখাতের বার্তা দিয়েছেন।