বাগড়ি মার্কেট এখনও জ্বলছে, তার মধ্যেই নতুন করে আগুন জগুবাবুর বাজারে

বাগড়ি মার্কেটএখনও জ্বলছে বাগড়ি মার্কেটের আগুন।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বাগড়ি মার্কেট এখনও জ্বলছে। আগুন লেগেছিল প্রায় দেড় দিন আগে। কিন্তু, দমকলকর্মীদের লাগাতার চেষ্টাতেও সে আগুন সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নেভেনি।

এ দিন সকালেও ওই মার্কেটের বিভিন্ন জায়গা থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখা গিয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় আগুনের ফুলকিও নজরে এসেছে। পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু, এত ঘিঞ্জি জায়গায় তাদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। আর সব মিলিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। দমকল আরও সচেষ্ট হলে তাঁদের ক্ষয়ক্ষতি কম হত বলে অভিযোগ। তাঁদের আরও দাবি, এই আগুন লাগার ঘটনায় প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে ঘিরেই ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যে বেআইনি ডালা থেকে বাগড়ি মার্কেট আগুনের কবলে পড়েছে, তা কেন বন্ধ করা যায় না, তা নিয়েও মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি এই আগুন লাগার ফলে, মার্কেটের যা অবস্থা হল তাতে তা নতুন করে তৈরি করতে হবে কি না সে প্রশ্নও তোলা হয়।

মন্ত্রী যদিও জানান, রাজ্যের আইনে এ সব ক্ষেত্রে পুরনো মার্কেট ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্মাণের কথা বলা আছে। কিন্তু, আগুন নিভে না যাওয়া পর্যন্ত সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যবসায়ীরা পুড়ে যাওয়া দোকান থেকে সব মালপত্র বার করছেন। তার পরে আমরা অ্যাসেসমেন্টে বসব।’’

বাগড়ি মার্কেট পুরোপুরি আগুনের গ্রাসে চলে গেল শনিবার

ব্যবসায়ীদের একটা অংশ পুরমন্ত্রীকেই প্রশ্ন করা শুরু করেন, বাগড়ি মার্কেটের মালিক রাধা বাগড়ি কোথায়? জলের লাইনের জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘‘এ সবই ছিল শুধু আইওয়াশ।’’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে জার্মানিতে রয়েছেন। সেখান থেকে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমি ব্যবসায়ীদের পক্ষে। কিন্তু, সবটা তো মেনে নেওয়া যায় না। শৌচাগারও ওরা ভাড়া দিয়েছিলেন। একটা ঘিঞ্জি এলাকা। গাড়ি ঢোকার জায়গা নেই। সবটা তো বুঝতে হবে।’’

এরই মধ্যে এ দিন বিকাল ৪টে নাগাদ ভবানীপুরের জগুবাবুর বাজারে ‘বলরাম মল্লিক’ নামে একটি মিষ্টির দোকানে আগুন লাগে। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। তাদের ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।