বাবু মাস্টার আক্রান্ত, গাড়িতে বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ

বাবু মাস্টার আক্রান্ত

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বাবু মাস্টার আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে শনিবার সন্ধ্যায় বোমা ছোড়ার পাশাপাশি গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া বাবু মাস্টার জখম হয়ে এই মুহূর্তে কলকাতার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অবস্থা স্থিতিশী‌ল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। স্‌প্লিন্টারের একাধিক আঘাত রয়েছে তাঁর শরীরে। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কুদেব পণ্ডা।

শনিবার বসিরহাটে বিজেপি-র একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার। সেই সভা থেকে ফেরার পথে মিনাখাঁয় বাবু মাস্টার আক্রান্ত হন বলে পুলিশের দাবি। তার শরীরে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ক্ষত স্‌প্লিন্টারের। এই ঘটনায় অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলের দিকে। তবে তারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গত ১৮ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে এসে অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতির হাতে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন বাবু মাস্টার। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সোনার চামচ মুখে দিয়ে রাজনীতি করতে আসেনি। এখানে আমাকে কেউ দয়া করে জায়গা দেয়নি। উপর থেকে কেউ এই জায়গায় এনে বসিয়ে দেয়নি। দলে সম্মান পাচ্ছিলাম না। গত কয়েক মাস ধরে দলের ব্যবহার মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। তাই অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। দলও ছেড়ে দেব।’’ এর পর তিনি দল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন।

২০০১ সালে বাম জমানায় স্কুল শিক্ষকের চাকরি পান বাবু। তার পর থেকে সক্রিয় সিপিএম কর্মী ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে সিপিএম থেকে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে থাকে। সন্দেশখালিতে খুনে যুক্ত থাকা-সহ ৫টি মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ৩টি মামলা ভেড়ির মাছ চুরির অভিযোগে। সব ক’টি মামলাতেই তিনি জামিন পেলেও দলের একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন বাবু।

এ দিন বাবু মাস্টার আক্রান্ত হওয়ার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘হতে পারে এ নব্য বিজেপির সঙ্গে, পুরনো বিজেপির লড়াই। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়। দীর্ঘদিন ধরেই বাবু মাস্টারের অনেক শত্রু আছে। উনি দলে ছিলেন যখন, আমি উচ্চ নেতৃত্বকে বলেছি, ওঁকে দলে রাখা ঠিক হচ্ছে না। তারপরেও জেলা পরিষদের পদ দেওয়া হয়েছিল ওঁকে। এখন বিজেপিতে গিয়েছে। যাই হোক, তৃণমূল হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তাই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনওরকম যোগ নেই।’’

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)