Arjun Singh ফিরলেন তৃণমূলে, বিজেপি সাংসদকে স্বাগত অভিষেকের

Arjun Singh

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Arjun Singh ফিরলেন তৃণমূলে। বেশ কিছু দিন ধরেই ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন নিজের দলের বিরুদ্ধে ‘বেসুরো’ ছিলেন। জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তিনি তৃণমূলে ফিরে আসতে পারেন। সেই জল্পনাকে সত্যি করে রবিবার বিকেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে নিজের পুরনো দলে ফিরলেন। অভিষেক ছাড়াও ওই স্বাগত অনুষ্ঠানে ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, হাবড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী-সহ অনেকে।

১৯৯৮ সালে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলে ছিলেন অর্জুন। তিনি দলের বেশ কয়েক বারের বিধায়ক কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ তৈরি হয়। ব্যারাকপুর লোকসভা আসন থেকে তিনি নিজে প্রার্থী হতে চেয়ে দলকে অনুরোধ করেন। কিন্তু দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জুনের ইচ্ছেকে মান্যতা না দিয়ে ওই আসন থেকে প্রার্থী করেন দীনেশ ত্রিবেদীকে। এর পরেই অর্জুন দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি তাঁকে ব্যারাকপুরে প্রার্থী করে। এবং দীনেশের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে অর্জুন ওই ভোটে জিতে গিয়ে সাংসদ হন। এর পর যদিও দীনেশকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়। এবং তার পর দীনেশ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

গত বিধানসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৬টিতেই তৃণমূল জেতে। গত বেশ কিছু দিন ধরে পাটের দাম নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছিলেন অর্জুন। একাধিক বার দিল্লি গিয়ে তিনি বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে দেখাও করেন। তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। অর্জুন তৃণমূলে ফিরবেন বলে জোরদার জল্পনা তৈরি হয়। শনিবার অর্জুন একটি টুইট করেন। তাতে বোঝাই যাচ্ছিল তাঁর তৃণমূলে ফেরা কেবল সময়ের অপেক্ষা।

রবিবার বিকেলে অর্জুন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে আসেন। সেখানে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে স্বাগত জানান অভিষেক। এর পর অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপিতে বিভাজনের রাজনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না অর্জুন। তাই তৃণমূলে ফিরে এলেন। গোটা দেশ এখন তৃণমূলকে চাইছে।’’

আর অর্জুন বলেন, ‘‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছি। ভুল বোঝাবুঝিতে দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। ব্যারাকপুরের সাংসদও হয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই পাটশিল্পের সমস্যা রয়েছে। এই শিল্প অবহেলার শিকার হয়েছে। রাজ্যের ৬২টি জুট মিলের মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি অনেক। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত নভেম্বর মাসে পাটকল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি এই শিল্পে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এই খবরটা পাওয়ার পর থেকে আমি লড়াই শুরু করে দিই দিল্লি সরকারের বস্ত্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে। সামান্য, ২৫ শতাংশ আদায় করতে পেরেছি। কিন্তু ৭৫ শতাংশ বাকি রয়েছে। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যদি লড়াই না লড়তে পারি তা হলে আমাদের আরও ক্ষতি হবে।’’

 

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)