রাতেই গ্রেফতার আরাবুল, আজই তোলা হবে আদালতে

রাতেই গ্রেফতার আরাবুলরাতেই গ্রেফতার আরাবুল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় রাতেই গ্রেফতার আরাবুল ইসলাম, আজ শনিবার তোলা হবে আদালতে।

শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে এক তরুণের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে নির্দেশ দেন, আরাবুলকে গ্রেফতার করতে হবে। তার পরেই ওই রাতেই ভাঙড়ে আরাবুলের বাড়ির পেছনের মাঠ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কাশীপুর থানার পুলিশ। রাতেই তাঁকে কাশীপুর থানায় না নিয়ে গিয়ে সোনারপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হবে।

এ দিন বিকেলে ভাঙড়ে জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্যরা মিছিল বের করে। সেই সময় তাদের উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। ঘটনায় দু’তরফেই বোমা-গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলি লেগে মারা যায় বছর চব্বিশের তরুণ হাফিজুল মোল্লা। তাঁর মুখ ভেদ করে গুলি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে কলকাতার এক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা জানান হাফিজুলের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির আরাবুল বাহিনীর দিকেই ছিল।

ভাঙড়ে গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবকের, অভিযুক্ত আরাবুল

এর পরেই সেই দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ভাঙড়ে। হাফিজুলের মৃতদেহ নিয়ে হাড়োয়া রোড অবরোধ করা হয়। দাবি ওঠে, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত আরাবুল-সহ মোট ১২ জনকেই গ্রেফতার করতে হবে। তার আগেই যদিও আরাবুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ নবান্ন থেকে চলে গিয়েছে জেলা পুলিশের কাছে। রাতেই আরাবুলের বাড়ির পিছনের মাঠ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গোটা ঘটনার মাস্টার প্ল্যান তিনিই করেছিলেন বলে কমিটির অভিযোগ। এ দিন কমিটির মিছিলে গুলি চালিয়েছিলেন আরাবুলের ভাই খুদে, এমন অভিযোগও উঠেছে। খুদে-সহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

গুলি লেগে তরুণের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। সিপিএমের শমীক ঘোষ গোটাটার দায় চাপিয়ে দিয়েছেন শাসক দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তাঁর মতে, আরাবুলকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাপট চালিয়ে এলাকায় কায়েম বজায় রাখতে চেয়েছিলেন নেত্রী। এখন তারই ফল ভুগতে হচ্ছে। আরাবুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ নবান্ন থেকে দেওয়া হয়েছে শুনে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও প্রায় একই সুরে জানিয়েছেন, মমতা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। কিন্তু, শাকটা কী দিয়ে ঢাকবেন?

ঘটনার নিন্দা করেছে বিজেপি-ও। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরে মমতার আর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতাই নেই। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।