ফের অনুজ-জ্ঞানবন্ত কলকাতা-বিধাননগরের সিপি

ফের অনুজ-জ্ঞানবন্তঅনুজ শর্মা কলকাতার নয়া পুলিশ কমিশনার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফের অনুজ-জ্ঞানবন্ত ফিরে এলেন তাঁদের পুরনো দায়িত্বে। সাত দফার লোকসভা ভোটের পরে রবিবার নির্বাচনী আচরণবিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তার পরেই রাজ্য পুলিশে ফের এক দফা রদবদল করেছে রাজ্য সরকার। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের তরফে জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে তালিকা দিয়ে নিজ নিজ পদের দায়িত্বভার বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কমিশন যে সব পুলিশ অফিসারদের বদলি পুলিশ অফিসারদের বসিয়েছিল, তাঁদের সবাইকেই কম্পালসরি ওয়েটিং-এ পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

রবিবার সন্ধ্যায় এক নির্দেশে কলকাতা এবং বিধানননগরের পুলিশ কমিশনারের পদে ফের অনুজ-জ্ঞানবন্ত সিংহকে ফিরিয়ে আনল নবান্ন। রাতেই লালবাজারে পুলিশ কমিশনার রাজেশ কুমারের হাত থেকে পুরনো দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন অনুজ শর্মা। একই সঙ্গে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সুনীল চৌধুরীকে সরিয়ে দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহকে নিয়োগ করা হয়েছে রবিবার। এ দিন রাতেই দায়িত্ব নিয়ে নেন দেবেন্দ্র।

ভোট শুরু মুখেই অনুজ শর্মাকে সরিয়ে দিয়ে কলকাতায় রাজেশ কুমার এবং জ্ঞানবন্ত সিংহকে সরিয়ে নটরাজন রমেশবাবুকে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে কমিশন ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার এস সেলবামুরুগানকে সরিয়ে শ্রীহরি পাণ্ডেকে নিয়োগ করেছিল। তবে শ্রীহরি পাণ্ডেকে এখনও সরায়নি নবান্ন। বীরভূমের পুলিশ সুপারের পদে রদবদল হয়েছে। কমিশনের নির্দেশে বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহকে সরিয়ে ওই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আভারু রবীন্দ্রনাথকে।

মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম, দল মানল না: মমতা

এ দিন রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় দু’জনকেই পুরনো পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপারের পদে অভিষেক গুপ্তের পরিবর্তে অমিতকুমার সিংহকে দায়িত্ব দিয়েছিল কমিশন। সেই অমিতকেও ‘ওয়েটিং ফর পোস্টিং অর্ডার’-এর তালিকায় রেখেছে রাজ্য সরকার। ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও বদল করেছিল কমিশন। সেখানে এসডিপিও-র পদে মিঠুনকুমার দে-কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কমিশনের নির্দেশে কলকাতা এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার হয়েছিলেন যে রাজেশ-রমেশ, তাঁদেরও আপাতত ‘ওয়েটিং ফর পোস্টিং অর্ডার’-এ রাখা হয়েছে। একই অবস্থা ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া সুনীল সিংহেরও।

কমিশনের নির্দেশে সরিয়ে দেওয়া অফিসারদের পুরনো দায়িত্বে ফের ফিরিয়ে আনাটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে, ভোটের ফলাফলই এই রদবদলের পিছনে রয়েছে? প্রশ্নটা উঠছে।  এ সব নিয়ে কাটাছেঁড়াও করছে প্রশাসনিক থেকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের মতে, কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের পদে বদলির ব্যাপারটা ছিল সময়ের অপেক্ষা।

(বাংলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)