অলীক চক্রবর্তী গ্রেফতার, ওড়িশা থেকে কাল নিয়ে আশা হবে কলকাতায়

অলীক চক্রবর্তী গ্রেফতারঅলীক চক্রবর্তী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অলীক চক্রবর্তী গ্রেফতার, ভিন রাজ্যে চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে থেকে। ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডবিরোধী আন্দোলকারী ওই নকশাল নেতাকে গ্রেফতার করে বারুইপুর জেলা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ওড়িশার ভূবনেশ্বরের চন্দ্রশেখরপুর থানার মৈত্রেয়ী বিহার কলোনির কলিঙ্গ হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অলীককে। বারুইপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের সময় কয়েক জন আন্দোলকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের এক জন তদন্তকারীদের জানান, অলীকবাবুর চিকিৎসার কারণে ভিন রাজ্যে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন। তার পরেই মাছিভাঙা ও খামারআইট গ্রামে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। অলীক ঘনিষ্ঠ আন্দোলনকারীর কাছ থেকে জানা যায়, তিনি দাড়ি ও গোঁফ কেটে ফেলেছিলেন। তারপর মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ের আস্তানা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি নির্বাচনের আগে অলীক ঘনিষ্ট এক চিকিৎসকও গ্রেফতার হয়েছিলেন। বারুইপুর জেলা পুলিশের এককর্তার কথায়, অলীকবাবু হায়দ্রাবাদ, ভূবনেশ্বর ও চেন্নাই শহরে এক চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন বলে জানিয়েছিলেন অলীক ঘনিষ্ট ওই চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক যে যে হাসপাতালগুলিতে যুক্ত কাশীপুর থানার তিনটি দল সেখানে সঙ্গে-সঙ্গে ঘাঁটি গাড়ে। অলীক কলকাতা ছাড়ার খবর পাওয়ার পরই  চিকিৎসা করেন। সেখানকার হাসপাতাল গুলির আশেপাশে গিয়ে ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন।

জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ জানান, এ দিন বিকেলে কয়েক জন স্থানীয় নকশাল নেতার সঙ্গে অলীকবাবু ওই হাসপাতালে আসেন। নিজের নাম খাতায় লিখিয়ে হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের কথায়, এ দিন সকাল থেকেই ওই হাসপাতালের উপর নজর রাখা হচ্ছিল। বুধবার থেকেই কয়েক জন স্থানীয় নকশাল নেতা ওই হাসপাতালে আসা-যাওয়া করছিল। তার পরই এক রকম নিশ্চিত হওয়া যায়। অলীক ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসতে পারেন।

মহেশতলায় জিতল তৃণমূল, দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি

২০১৭ সালে ১৭ জানুয়ারি নকশাল নেতা অলীক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল। ওই দিন দু’টি মৃত্যুর ঘটনা হয়েছিল। তার পর থেকেই কলকাতা পুলিশ, সিআইডি ও বারুইপুর জেলা পুলিশ নকশাল নেতাদের গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের এসটিএফও বেশ কয়েক বার অলীক চক্রবর্তীকে ধরার জন্য অভিযানও চালিয়েছিল। বারুইপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অলীকবাবুর বিরুদ্ধে প্রায় ৬৫টি মামলা রয়েছে। খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক মজুত ও পুলিশের উপর হামলা ও ইউওপিএ-র মতন গুরুতর ধারায় মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পরে চন্দ্রশেখরপুর থানাতেই রাখা হয়েছে অলীককে। তাঁর শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে। শুক্রবার ভুবনেশ্বর আদালতে হাজির করানোর পরে অলীককে কলকাতায় নিয়ে আসার কথা।