Airforce Chopper Crash: মৃত্যু দার্জিলিংয়ের সৎপাল রাইয়ের

Airforce Chopper Crash

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: Airforce Chopper Crash-এ প্রাণ গিয়েছে বাংলার সৎপাল রাইয়ের। বুধবার যে চপারে সুলুর থেকে ওয়েলিংটনের সেনাবেসে যাচ্ছিলেন সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। অবতরণের ১০ মিনিট আগে কুন্নুরের পাহাড়ে ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার এমআই -১৭ ভি৫ বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন লেগে যায় বিমানে। ঝলসে যায় বিমানের ভিতরে থাকা ১৪ জন। তার মধ্যে বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রীসহ ১৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যেই ছিলেন বিপিন রাওয়াতের দেহরক্ষী সৎপাল রাই। তাঁরও সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে।

সৎপাল দার্জিলিংয়ের তাকদার বাসিন্দা। তাঁর ছেলেও রয়েছেন সেনাবাহিনীতে। বিক্কল রাই দিল্লিতে কর্মরত। তাঁর কাছেই প্রথম খবর যায় সৎপালের চপার দুর্ঘটনার। তিনিই তাঁর দার্জিলিংয়ের বাড়িতে খবর দেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই ছড়িয়ে পড়ে খবর। পরিবারের লোকেরা ভেঙে পড়েছেন সৎপালের মৃত্যুর খবরে। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনও সৎপালের পরিবারের পাশে রয়েছে।

সকালেই ফোনে বাড়িতে কথা বলেছিলেন সৎপাল। ছেলের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে।  সৎপাল দীর্ঘদিন ধরে বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর কাজে নিযুক্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার দিল্লি হয়ে বাকিদের দেহ ফেরার কথা যাঁর যাঁর বাড়িতে। এখন সৎপালকে শেষ দেখার অপেক্ষায় তাঁর পরিবার। কিন্তু দেখা কি মিলবে। যা খবর তাতে আগুনে ঝলসে যাওয়া দেহের পরিস্থিতি খুবই খারাপ।

এই দুর্ঘটনাগ্রস্থ চপারে ছিলেন ১৪ জন। তার মধ্যে ১৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র জীবিত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। এদিন সংসদে তাঁর স্বাস্থ্যের কথা জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানান, আপাতত লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন বরুণ সং। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল। তাঁকে বাঁচিয়ে তোলার পুরো চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি এই মুহূর্তে রয়েছেন ওয়েলংটনের মিলিটারি হাসপাতালে। সেখানেই রাখা হয়েছিল, দুর্ঘটনায় মৃতদেরও। জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। গত অগস্টের সৌর্য চক্র পেয়েছিলেন তাঁর সাহসের জন্য। গত বছর তাঁর তেজাস বিমান মাঝ আকাশে টেকনিক্যাল সমস্যার সম্মুখিন হলে সেটাকে নিরাপদে অবতরণ করিয়ে সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।

তিনি বিপিন রাওয়াতকে ওয়েলিংটনে নিয়ে যেতেই সুলুরে পৌঁছেছিলেন। সেখানে শিক্ষক ও ছাত্রদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। উত্তরপ্রদেশের পূর্বে অবস্থিত দেওরিয়ার বাসিন্দা বরুণ সিং। তাঁর বাবা কেপ সিংও ছিলেন সেনাবাহিনী কর্নেল। এখন অবসর নিয়েছেন। রাজ্যের কংগ্রেস নেতা অখিলেশ প্রতাপ সিং বরুণের কাকা। তাঁর আর এক কাকা দীনেশ প্রতাপ সিং জানান, বরুণ এখন হাসপাতালে রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে যখন বুলেটিন দেবে তাঁর শরীরের বিষয়ে তখনই জানা যাবে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)