অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মারা সেই যুবকের রহস্যমৃত্যু, বিজেপি তুলল খুনের অভিযোগ

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড়দেবাশিস আচার্য

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মেরেছিলেন ২০১৫ সালে। তা নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের সেই যুবক দেবাশিস আচার্যের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপি খুনের অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূল যদিও এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে দেবাশিসের, তা নিয়ে পুলিশও ধন্দে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে কোনও স্পষ্ট দিশা খুঁজে পায়নি তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন দেবাশিস। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় কেউ বা কারা তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিসের মাথা এবং গলায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। চিকিৎসা শুরু করা হলেও এ দিন দুপুরে দেবাশিসের মৃত্যু হয়। এর পরেই ঘটনার কথা জানতে পারে দেবাশিসের পরিবার। পরিবারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যান। পুলিশও পৌঁছয় হাসপাতালে। জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও যান। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে তৎকালীন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সভা ছিল। সেই সভা মঞ্চে উঠে মোবাইলে সেল্ফি তোলার নাম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মেরেছিলেন দেবাশিস। এর পরেই তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে মারধর করে। আহত দেবাশিসকে তার পর হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় সেই সময়। পরে দেবাশিসের বাবা-মা কালীঘাটে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মারার জন্য তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে যান। দেবাশিসও পরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন। অভিষেক তাঁকে ক্ষমাও করেন।

এ দিন দেবাশিসের মৃত্যুর পর জেলা বিজেপি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে। তাদের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই দেবাশিসকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল যদিও দাবি করেছে, এটা খুনের ঘটনা কি না জানা নেই তাদের। এই রহস্যমৃত্য়ুর সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেছে তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত দেবাশিসের পরিবার। তাঁর মা শিবানী আচার্য বিজেপি মহিলা মোর্চার তমলুক নগর মণ্ডলের সহ-সভানেত্রী।

জেলা পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে, ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে দেবাশিসের।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)