সোমবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছে বেশ কিছু পরিকল্পনা

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির জেরা

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সোমবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন সাফল্যের সঙ্গে উতড়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরাকেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। আর সেখানে সেই কাজে গিয়েই রীতিমতো বিপদে পড়েছেন আইপ্যাকের কর্মীরা। তাঁদের হোটেলবন্দি করে রাখা হয়েছে। যখন তখন গিয়ে জেরা করা হচ্ছে। সব মিলে আইপ্যাকের কর্মীদের বার বার হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে গত কয়েকদিনে। তার পরই তৃণমূল নেতাদের ত্রিপুরা যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আলে। অভিষেকের আগেই যাওয়ার কথা থাকলেও তা ভেস্তে যায়। শেষ পর্যন্ত তিনি যাচ্ছেন।

এদিকে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে আটকাতে বর্তমান সরকারেরও তোড়জোড় ভালই চলছে। তবে সেই সবকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। ইতিমধ্যেই সে রাজ্য থেকে ঘুরে এসেছেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়ান, কাকলি ঘোষদস্তিদারসহ একাধিক নেতা-নেত্রী। বৃহস্পতিবারই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকেরও। কিন্তু তা পিছিয়ে শুক্রবার হয়। পরবর্তী সময়ে শনি ও রবিবার সেখানে লকডাউন হওয়ায় বাতিল করে সোমবার করা হয়।

সোমবার ত্রিপুরায় প্রথম পা রাখবেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের মিশন ত্রিপুরা-র অনেকটাই দায়িত্ব রয়েছে অভিষেকের উপর। যে কারণে তাঁর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ত্রিপুরা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য। ইতিমধ্যেই তাঁর সফর সূচির কতা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। জানা যাচ্ছে তার বাইরেও বেশ কিছু কর্মসূচি থাকতে পারে তাঁর। যা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর। সোমবার প্রথমেই দুপুর ১২টায় তিনি যাবেন ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে। তার পর সেখানকার তৃণমূল নেতাদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে। ৩.৩০ নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি।

এর পাশাপাশি আরও কিছু সাংগঠনিক বৈঠকের পরিকল্পনাও রয়েছে। যার সূচি তৈরি হয়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিষেকের সফর ঘিরে উত্তেজনায় রীতিমতো ফুঁসছে। জানা যাচ্ছে অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিতে মুখিয়ে রয়েছেন সে রাজ্যে। অভিষেক পৌঁছলে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। স্থানীয় অনেক বড় নামের যোগ দানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় উপজাতি ভিত্তিক দলগু‌লোর সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি করা একটা বড় লক্ষ্য। কারণ ত্রিপুরার রাজনীতিতে তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে এটা সবে শুরু। যে ভাবে দিল্লি গিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের রাস্তা সুপ্রস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেভাবেই অন্য রাজ্যগুলোতে ঢুকে পড়ার কাজও শুরু হয়ে গেল ত্রিপুরা দিয়েই।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)