মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ায় হাইওয়েতে আটকে ৭ হাজার আনাজ ভর্তি ট্রাক, বাড়ছে দাম

মাঝেরহাট ব্রিজজাতীয় সরকে ট্রাকের সারি।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়েছে তা কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কত তা নিয়ে এখনও পরিষ্কার কোনও ধারণা নেই। জীবন গিয়েছে চার জনের। কিন্তু ব্রিজ ভাঙার পরবর্তী সময়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্থানীয় বাজার মূল্য। বিশেষ করে বেহালার বিভিন্ন বাজারে সবজি থেকে আনাজ, মাছ-মাংস সব কিছুর মূল্য প্রতিদিনই অল্প অল্প করে বাড়ছে। তার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে ব্রিজ ভেঙে পড়ায় শহরের বাইরে আটকে যাওয়া প্রায় ৭ হাজার ট্রাক।

বিভিন্ন হাইওয়ে যা কলকাতা শহরে ঢোকে মাঝেরহাট ব্রিজ হয়ে সব আটকে রয়েছে শহরের বাইরে। ন্যাশনাল হাইওয়ে ২ ও ৬ জুড়ে সার দিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে ট্রাক। যার ফলে আটকে গিয়েছে হোলসেল মার্কেটের জিনিসপত্রের সাপ্লাই। আর সে কারণেই বাড়ছে দাম। শনিবার পর্যন্ত ২০ হাজার ট্রাক আটকে ছিল।যাতে ছিল সবজি, মাছ, ডিম ও ফল। শনিবার দুপুরে অনেকটাই রাস্তা পরিষ্কার করেছে পুলিশ। কিছু ট্রাক এগিয়েছে কিন্তু গতি খুবই মন্থর। ৩৫ শতাংশ ট্রাক এখনও আটকে। পশ্চিমবঙ্গ ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় এমনটাই জানিয়েছেন।

পোস্তা, বড়বাজার, মেছুয়ার হোলসেল মার্কেট রবিবার বন্ধ ছিল। শনিবার পর্যন্ত এই সব বাজারে জিনিসের দাম বেড়েছে হুহু করে। বেহালা বাজারে রবিবার দাম বাড়ার নমুনা একটা উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। শনিবার যে গাজরের দাম ছিল ৪০টাকা কেজি তা রবিবার বেড়ে হয়েছে ৬০টাকা। ট্রাক ড্রাইভার ও কর্মীরা সেই আনাজ নিয়েই রাস্তার উপর রান্না করে খাচ্ছে। এই অবস্থায় আর কিছুই করার নেই তাদের। হাইওয়েতে যদি একদিন গাড়ি পার্ক করে রাখা হয় তা হলে লোকসান কম করে ৩ হাজার ৫০০ টাকা।

ভারত বন্‌ধ এবং হরতাল, কংগ্রেস এবং বামেদের

সোমবার থেকে আরও ট্রাকের শহরে ঢোকার কথা রয়েছে। হাইড রোড ধরে বেহালায় ঢোকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।যার ফলে ট্রান্সপোর্ট খরচ বাড়বে ১৫০০টাকা। বেহালা সংলগ্ন হোলসেল মার্কেটে জিনিসের মূল্য আকাশ ছোঁয়া হলেও কোলে মার্কেট, শিয়ালদহ মার্কেটের মতো বড় জায়গায় ডিমের দাম একই রয়েছে। পাতিপুকুর ও হাওড়ায় মাছের বাজারেও মাছের দামের কোনও হের ফের হয়নি। অনেক ট্রাক বেহালা পৌঁছতে না পেরে পাতিপুকুর ফিশ মার্কেটেই তা খালি করেছে।

ইতিমধ্যেই কলকাতার ব্রিজে ২০ চাকার ট্রাক চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সঙ্গে শহরে ঢোকার আগে দেখা হচ্ছে ট্রাকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জিনিস চাপানো হয়েছে কিনা। কারণ ২০ চাকার ট্রাক যে ক্ষতি করবে ওভার লোডেড ট্রাকও েই একই ক্ষতি করবে।