ধর্মঘট, রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, মেট্রোও বন্ধ করার চেষ্টা শহরে

ধর্মঘট

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ধর্মঘট, রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবরই মিলল। বৃহস্পতিবার বাম ও কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ধর্মঘটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজ্যে। পথেঘাটে লোকসংখ্যা ছিল বেশ কম। যাঁরা বেরিয়েছিলেন, তাঁদের নানা জায়গায় ভোগান্তি সইতে হয়েছে।

ধর্মঘটের দিনে অনেকেই মেট্রো রেলের উপরে ভরসা করেন। এ দিন চাঁদনি চক, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, দমদম মেট্রো স্টেশন জোর করে বন্ধ করার চেষ্টা করেন বন্‌ধ সমর্থকরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বারাসতে ধর্মঘটীরা চড়াও হয়ে একের পর দোকান বন্ধ করে দিতে শুরু করে। পুলিশ গেলে তাদের সঙ্গে ধর্মঘটীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিশের লাঠির ঘায়ে কয়েক জন সমর্থক জখম হয়েছেন বলে দাবি করেছে বামেরা। তবে পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

হাওড়ার বালি, বেলানগর স্টেশনে দফায় দফায় রেল অবরোধ হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের ট্যাক্সি পর্যাপ্ত ট্যাক্সি না-থাকায় যাত্রীদের জন্যে বাসের ব্যবস্থা করে পুলিশ।

শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের জন্য বাস ও ট্যাক্সি কম ছিল। রাস্তাঘাটে বেসরকারি বাসও ছিল কম। কিছু সরকারি বাস দেখা গিয়েছে। যাদবপুর ও সোনারপুর রেল অবরোধের চেষ্টা হয়েছে।

ধর্মঘটে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে বলে দাবি রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি জানান, তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র-সহ বিদ্যুৎ বণ্টন ও সংবহন সংস্থার অফিসগুলিতেও কর্মীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি ছিল।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

শিলিগুড়িতে বামেদের বড় মিছিল হয়। জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালতের সামনে বিচারকদের গাড়ি আটকানোকে ঘিরে বন্ধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিচারকেরা আদালতে ঢোকেন।

কয়েকটি জায়গায় মুম্বই রোড এবং ট্রেন অবরোধ হয়। হুগলির পান্ডুয়ায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আরামবাগে পুলিশ সিপিএমের অবরোধ তুলতে এলে দু’পক্ষের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়।

খড়্গপুর-হাওড়া ও মেদিনীপুর- হাওড়া শাখায় স্বাভাবিক ভাবেই ছুটেছে লোকাল ট্রেন। কার্যত ফাঁকা ছিল লোকাল ট্রেনগুলি।