নিজের হাতে দুর্গামূর্তি বানিয়ে ফেলল দশম শ্রেণির পড়ুয়া

নিজের হাতে দুর্গামূর্তি

অমৃত হালদার: নিজের হাতে দুর্গামূর্তি বানিয়ে ফেলল দেবরাজ বসু চৌধুরী। দেবরাজ দশম শ্রেণির পড়ুয়া।

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। সন্তানদের নিয়ে কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে পা দিয়েছেন মা দুর্গা। উৎসব-পাগল বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসবে মাততে কোমর বেঁধে প্রস্তুত। এমন সময় কলকাতা হাইকোর্ট নিদান দিল— ‘এ বার পুজো মণ্ডপে দর্শকদের নো-এন্ট্রি’। তাই তো করোনায় আক্রান্তে গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। করোনা আক্রান্তের নিরিখে কলকাতাকে প্রতিটা দিনই টক্কর দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা। এ বছরটা ঘরে থেকে মা দুর্গার পুজো করাটাই শ্রেয়। আর এই ভাবনা থেকেই বাড়িতে বসে, নিজের হাতে দুর্গামূর্তি বানিয়ে ফেলল দেবরাজ।


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে হাইকোর্টের রায়ের অনেক আগে থেকেই তার এই দুর্গামূর্তি গড়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। করোনা সংক্রমণের জেরে স্কুল বন্ধ। অনলাইন ক্লাসের ফাঁকেই খবর দেখে বিরাটির মহানগরের বাসিন্দা দেবরাজ বুঝেছিল যে, করোনা আবহে আনন্দে অনেকটাই ভাটা পড়তে চলেছে। জায়গায় জায়গায় মণ্ডপের আয়তন কমেছে, প্রতিমা তৈরি হচ্ছে ছোট করে। আনন্দের থেকেও আগে মানুষকে সুরক্ষিত রাখাই এই বছরের পুজোর আসল লক্ষ্য। সবাই মণ্ডপে ভিড় করলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কিন্তু বাড়িতে তো পুজো করাই যায়। এই ভাবনা থেকেই একটা অভাবনীয় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে দেবরাজ।

 

কাগজ আর থার্মোকল দিয়ে সে বানিয়ে ফেলেছে একটা দুর্গা মূর্তি। সঙ্গে রয়েছে লক্ষ্মী,সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ। মা দুর্গার পায়ের নীচে রয়েছে সিংহ ও মহিষাসুর। একচালা দুর্গাপ্রতিমা যেমন হয়, ঠিক তেমনটাই করার চেষ্টা করেছে দশম শ্রেণির এই পড়ুয়া। দেবরাজ জানিয়েছে, ও যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে। তখন কালীপুজোর সময় ঠিক করেছিল ঘরেই পুজো করবে। পাড়ার একজন মূর্তি বানাতেন। তাঁর কাছে আবদারও করেছিল সে। না তিনি বানিয়ে দেননি। তাই সে তখন নিজেই মূর্তি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। তবে মা বলেছিলেন,‘মাটির মূর্তি পুজো করার অনেক নিয়ম।’সে কারণে তখন থেকে কাগজ দিয়ে বিভিন্ন মূর্তি গড়ে আসছে দেবরাজ। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি।

সামনেই মাধ্যমিক। পড়ার একটু চাপ তো রয়েইছে। বাবা একটু পড়তে বসায় জোরও দিচ্ছেন। তার ফাঁকে সময় বের করে নিয়ে দূর্গামূর্তি বানিয়েছে সে। এ বারও বসু চৌধুরী পরিবারে পূজিত হবেন দেবরাজের হাতে তৈরি মা দুর্গা। দেবরাজের এই শখে বেজায় খুশি তার বাবা-মা। দেবরাজও জানিয়েছে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে মূর্তি গড়ার কাজও চলবে সমানতালে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)