লটারিতে কোটিপতি টিকিট বিক্রেতা নিজেই, অন্য দোকান থেকে কিনে

লটারিতে কোটিপতি টিকিট বিক্রেতারামকৃষ্ণ দাস

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: লটারিতে কোটিপতি টিকিট বিক্রেতা নিজেই। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে রথের দিন টিকিট কেটে লটারিতে এক কোটি টাকা জিতেছেন রামকৃষ্ণ দাস। তাঁর নিজেরও দীর্ঘ দিনের লটারির দোকান। কিন্তু রথের দিন যে টিকিট তাঁকে কোটিপতি করে দিল, তা তিনি কেটেছিলেন পাশের একটি দোকান থেকে। ৩০ টাকার টিকিট কেটে কোটি টাকা জিতে যাওয়ায় খুশি রামকৃষ্ণ-সহ গোটা দাস পরিবার।

সোমবার ছিল রথযাত্রা। অন্য দিন, তাঁর দোকানে যাঁরা আসেন, তাঁদের তিনি টিকিট কাটার জন্য মাঝে মাঝেই অনুরোধ করতেন। কেউ কেউ কাটতেন। কেউ বা টিকিটের নম্বর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে ফিরিয়ে দিতেন অনুরোধ। কিন্তু রামকৃষ্ণ বরাবর তাঁদের ভাগ্য ফেরানোর অনুরোধ করে যেতেন। কিন্তু রথের দিন দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে পাশের দোকান থেকে ওই লটারির টিকিট কেটেছিলেন রামকৃষ্ণ। ভেবেছিলেন, এক বার নিজের ভাগ্যটাকে যাচাই করে দেখা যাক। কিন্তু এক টিকিটই যে তাঁর মধ্য চল্লিশের জীবন পাল্টে দিতে পারে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি রামকৃষ্ণ।

এক লহমায় জীবন বদলে গিয়েছে দাস পরিবারের। লটারিতে কোটিপতি টিকিট বিক্রেতা রামকৃষ্ণের টানাটানির সংসারে পাঁচ ভাই, দু’বোন ছাড়াও স্ত্রী, দুই মেয়ে। মধ্য চল্লিশের রামকৃষ্ণ এক দিন কাজে না গেলে হাঁড়ি চড়ানো দুস্কর হয়ে পড়ে। সরকারি খাস জমিতে বাড়ি করে সকলে মিলে থাকেন। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অন্য মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর জন্য বরাদ্দ একটিমাত্র ঘর। তার মধ্যেই রান্নাবান্না। রামকৃষ্ণের স্ত্রী মনা দাস স্বামীর লটারির টিকিট জেতায় ভীষণই খুশি। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকেই একটিমাত্র ঘরেই থাকাখাওয়া, ওঠাবসা। কখনও বাড়িতে লোকজন বেড়াতে এলে বাইরে ঘুমাতে হয়। লটারি জেতার টাকায় মনা একটা ভাল বাড়ি বানাবেন বলে আশায় বুক বেঁধেছেন।

রামকৃষ্ণের দাবি, লটারির ব্যবসা করলেও তিনি নিঃস্ব। কয়েক লক্ষ টাকার ঋণ। তবে এ বার তাঁর ‘সুখের দিন’ এসেছে। লটারি জেতার পিছনে ‘জগন্নাথের কৃপা’ও দেখছেন তিনি। রামকৃষ্ণের কথায়, ‘‘এ টাকা আমাকে জগন্নাথ দিয়েছেন। এ বার লটারির ব্যবসা ছেড়ে দেব। একটা নতুন টোটো কিনব। ওই টোটো চালিয়েই সংসার চালাব। তাতেই আমাদের চলে যাবে। আর লটারির ব্যবসা করব না।’’


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)