রেল, মেট্রো বন্ধ, যাত্রী ভোগান্তি উপর-নীচে

বন্ধ রেল চলাচল। যাত্রী ভোগান্তি।বন্ধ রেল চলাচল। যাত্রী ভোগান্তি।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সাতসকালেই রেলবিভ্রাট। ভোগান্তি কখনও উপরে, তো কখনও নীচে।

বুধবার সকালে রেল অবরোধের কারণে দীর্ঘ ক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ মেন সেকশনে। পাশাপাশি রেক খারাপের জন্য বেশ কিছু ক্ষণ বন্ধ থাকল মেট্রো চলাচলও।

এ দিন সকালে শিয়ালদহ মেন সেকশনের সোদপুর স্টেশনে যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। পরে সেই বিক্ষোভ তাণ্ডবের চেহারা নেয়। যাত্রীদের দাবি, এ দিন সকালে সোদপুর স্টেশনে ট্রেন আসার ভুল ঘোষণা করা হয়। এতে বিভ্রান্তি ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। তার পরেই বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। ট্রেন, রেলের অফিস, টিকিট কাউন্টার সর্বত্র ভাঙচুর চালানো হয়। ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেন দেরিতে চলার অভিযোগে ওই স্টেশনে যাত্রীদের বিক্ষোভ, অবরোধ এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘোষণায় ভুল হওয়ার কথা তাঁরা মানতে চাননি। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, হালিশহরে ইন্টারলকিং-এর কাজ চলার জন্য নৈহাটি-কৃষ্ণনগর শাখায় ট্রেন চলাচলে যে বিঘ্ন ঘটবে তা আগেই সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয়েছিল। এর পরেও কেন যাত্রীরা বিভ্রান্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

অশান্তি চলছেই পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে

রেল কর্তাদের দাবি, বিক্ষোভের জেরে এ দিন সকাল ৯টা ৫৩ মিনিট থেকে ১১টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র জানিয়েছেন, বিক্ষোভের জেরে এ দিন ১৫ জোড়া ইএমইউ লোকাল বাতিল করা হয়েছে। ২১টি লোকাল ট্রেন দেরিতে চলেছে। ৩টি মেল ট্রেনকে গড়ে ৫০ মিনিট করে বিভিন্ন স্টেশনে থামিয়ে রাখতে হয়েছে।

মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কিছু সময়ের জন্য থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ চলে যায়। যাত্রীদের ওই স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়।

অন্য দিকে, এ দিন অফিসের ব্যস্ত সময়ে মেট্রো খারাপ হয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক এবং বিভ্রান্তি ছড়াল যাত্রীদের মধ্যে। মেট্রো সূত্রে খবর, দমদম থেকে রওনা হওয়া একটি ভিড় এসি রেক সকাল ১১টা ৩৫মিনিট নাগাদ গিরিশ পার্ক স্টেশনে পৌঁছয়। তার পরেই রেকটির সমস্ত আলো নিভে যায়। কয়েক মিনিটের জন্য আলো, এসি বন্ধ ছিল। প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে কয়েক মিটার এগিয়েও গিয়েছিল রেকটি। এই অবস্থায় সেটির দরজা খোলা যায়নি। মিনিট কয়েক পরে রেকটি পিছিয়ে প্ল্যাটফর্মে ফিরে আসে। দরজা খুলে সব যাত্রীকে নামানো হয়। ফাঁকা মেট্রো কবি সুভাষের দিকে রওনা হয়।

মিনিট পাঁচেক পরে একটি নন এসি রেক এলে যাত্রীদের একাংশ ওই মেট্রোয় উঠে নিউ গড়িয়ার দিকে রওনা হন। ঘটনার জেরে ডাউন লাইনে শোভাবাজার, দমদমের মতো কয়েকটি স্টেশনে কয়েক মিনিটের জন্য ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কিছু সময়ের জন্য থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ চলে যায়। যাত্রীদের ওই স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়। এ দিন বেলগাছিয়া, শ্যামবাজার, যতীন দাস পার্কের মতো কয়েকটি স্টেশনে কাজ চলছিল। সে জন্য সেন্ট্রাল সাবস্টেশন বন্ধ রেখে গিরিশ পার্ক থেকে বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছিল। তাই থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ চলে যায়। তবে এ দিন রাত পর্যন্ত মেট্রো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি।