রবিবার কফিনবন্দি হয়ে ফিরছেন স্নিগ্ধদীপ

ঘরে ফিরছেন স্নিগ্ধদীপ। প্যারিস থেকে গবেষণা সর্ম্পূণ করে আনন্দের সঙ্গে ফিরছেন না অবশ্য এই গবেষক। স্নিগ্ধদীপ ফিরছেন কফিনবন্দি হয়ে। তা-ও আবার মৃত্যুর ১৫ দিন পর!

রবিবার সকালেই কলকাতায় পৌঁছে যাবে স্নিগ্ধদীপের দেহ। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে উত্তরপাড়ার বাড়িতে। যেখানে থাকেন স্নিগ্ধদীপের বাবা-মা-স্ত্রী ও ছোট্ট মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেনস্ত্রী।

এই ক’দিনে অনেকটাই সামলে নিয়েছেন বাবা শিশিরকুমার দে। সবটা সমলাতে হচ্ছে একা হাতে। সামলাতে হচ্ছে সবাইকে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে আসে স্নিগ্ধদীপের ফেরার খবর। প্যারিসের দূতাবাস থেকে নন্দকিশোর নামে কোনওআধিকারিক ফোনে এই কথা জানিয়েছেন। শনিবারের বিমানে বুকিং করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

কিন্তু তাঁর মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। ছেলেকে আর কখনও ফিরে পাবে না উত্তরপাড়ার দে পরিবার। কিন্তু বিহিত চান তাঁরা। জানতে চান মৃত্যুর কারণ। প্যারিসের নরম্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছিলেন স্নিগ্ধদীপ। বিষয় ছিলবায়োলজি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি টানা ছেলেকে ফোনে না পেয়ে চিন্তিত বাবা ফোন করেছিলেন ছেলেরই দুই র্মাকিন বন্ধুকে। তাঁরাই খোঁজ নিয়ে স্নিগ্ধদীপের মৃত্যুর খবর জানান।

তার পর থেকেই পুরো বদলে গিয়েছে জীবনটাই। বিদেশের মাটিতে ছেলেকে হারিয়ে হতচকিত পরিবার প্রথমে বুঝতেই পারছিল না কী করবে। কী ভাবে ঘটে গেল এত বড় অঘটন। উত্তর এখনও মেলেনি। কিন্তু অনেক দিনের চেষ্টায় শেষপর্যন্ত কফিনবন্দি হয়েই ঘরে ফিরছেন স্নিগ্ধদীপ। কিন্তু এই মৃত্যুর উত্তর মিলবে কি? নাকি বাকি আরও অনেক ঘটনার মত রহস্যই থেকে আরও একটা মৃত্যু।