মুকুল রায় বললেন, জেলা পরিষদ জিতলেই সকলকে স্মার্টফোন

৭৫ লাখ চাকরি বাংলায়মুকুল রায়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মুকুল রায় ভাঙলেন নির্বাচনী বিধি। বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে জলপাইগুড়ি গিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি ঘোষণা করেন, জেলা পরিষদ দখল করতে পারলেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে জেলার প্রত্যেক যুবক-যুবতীদের সকলকে একটা করে স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে।

রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু রয়েছে। তার মধ্যে এক জন রাজনৈতিক নেতার এমন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সেই আচরণ বিধিকে লঙ্ঘন করেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। এ নিয়ে মুকুল রায় এবং বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।

শনিবার জলপাইগুড়ির ঘুঘুডাঙায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জেলায় যত জন যুবক-যুবতীর ১৮ বছরের উপর হয়েছে, তাদের প্রত্যেককে একটা করে স্মার্টফোন দেবে জেলা পরিষদ।” কেন স্মার্টফোন দেওয়া হবে? সে কথাও জানিয়েছেন মুকুল। তাঁর কথায়, ‘‘কারণ, আমার সরকার চাইছে ক্যাশলেস ট্র্যানজাকশন। আর এই ক্যাশলেস ট্র্যানজাকশন করতে গেলে স্মার্টফোন দরকার।” এর পরেই তিনি রাজ্মযের তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন। মুকুল রায় বলেন, ‘‘ওই খেলার পয়সা দিয়ে দিলাম, মেলার পয়সা দিয়ে দিলাম, লীলাখেলার পয়সা দিয়ে দিলাম— ও সব দেবো না। জেলা পরিষদ ১৮ বছরের উপরের সকল যুবক-যুবতীকে একটা করে স্মার্টফোন দেবে।”

হোক চৈতন্য, কলকাতা মেট্রোর ঘটনায় এই বার্তা নিয়েই প্রবীণরা

কিন্তু, এই উপহারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুকুল রায় নির্বাচনী বিধি ভেঙেছেন বলে দাবি করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। তৃণমূল তো মুকুলের নামে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানাবে বলে জানিয়েছে। এমনিতে যে সমস্ত জেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, জলপাইগুড়ি তাদের মধ্যে অন্যতম। জেলা পরিষদে মোট ১৯টা আসন। তার প্রতিটাতেই ভোট হবে। পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতেও হাতে গোনা আসনে শাসক দল তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে পেরেছে। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় জলপাইগুড়ি ভেঙে আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরি হয়নি। সে বার জেলা পরিষদে বিপুল ভোটে জিতেছিল বামেরা। পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতেও বেশি আসন পেয়েছিল বামেরাই। যদিও পরবর্তীতে দলবদলের জেরে সব আসনেই জিতে আসা প্রার্থীরা বামেদের ছেড়ে চলে যায় তৃণমূলে। এ বার সেই জলপাইগুড়িতে জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করবে বলে আশাবাদী। সে কারণেই মুকুল আরও বেশি করে ওই উপহারের কথা বলেছেন বলে একটা অংশের মত। কিন্তু, এতে হিত হল নাকি বিপরীত, তা খতিয়ে দেখছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।