বিদ্বজ্জন বাণে ফের বিদ্ধ তৃণমূল

বিদ্বজ্জনবিদ্বজ্জন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিদ্বজ্জন হিসাবেই তাঁরা পরিচিত। একটা সময় রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। ছিলেন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বেও। মমতার সঙ্গে তাঁরাও গলা মিলিয়েছিলেন রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে। তার পর ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। কিন্তু, মমতার পাশ থেকে তাঁরা সরেননি।

এ বার সেই বিদ্বজ্জনেরাই মুখ খুললেন। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে হিংসা, অশান্তি, সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে এ বার তাঁরা সরাসরি তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করলেন। বুধবার বিকালে কলকাতার প্রেসক্লাবে নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, গায়ক ও গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায় এবং পল্লব কীর্তনীয়া, রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায়, মীরাতুন নাহার, সুজাত ভদ্র প্রমুখেরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। শাসক দল এবং সরকারের বিরুদ্ধে এ দিন কথা বলে ওই বিদ্বজ্জনেদের সম্পর্কে নাকি সে দিনের বিরোধী নেত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আর তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই বিদ্বজ্জনেদের বোঝাতে হবে।

ইন্ডিগো থেকে নামিয়ে দেওয়া হল যাত্রীকে

গত রবিবার কলকাতায় সম্প্রীতি মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন যে বিদ্বজ্জনেরা, তাঁদের মধ্যেও কবি শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে বিভাসবাবু এবং পল্লব ছিলেন। সেই মিছিল থেকেও পঞ্চায়েতে হিংসার প্রতিবাদ শোনা গিয়েছিল। বিভাসবাবুরা বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে আরও স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাম আমলের পরিবর্তনের সময়ে তৃণমূলের পাশে ছিলেন বলে আজীবন সেখানেই থেকে যাবেন, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা তাঁদের নেই। বিভাসবাবু এ দিন বলেন, ‘‘আমরা কোনও রাজনৈতিক কর্মী নই। দেশের গণতন্ত্র, মানুষের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার রক্ষা করার জন্যই আমাদের অতন্দ্র ভাবে কাজ করতে হবে। একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এক জনের রক্তও কেন ঝরবে? এক জনই বা কেন মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে বঞ্চিত হবেন? যদি কেউ অজুহাত দেয়, আগেও তো এমন হয়েছে, সেটা হচ্ছে শয়তানের যুক্তি। আগের একটা অপরাধকে অজুহাত হিসাবে খাড়া করা।’’

প্রতুলবাবু বলেন, ‘‘আধিপত্যবাদ চালিয়ে প্রভুত্ব করে বেশি দিন শাসন করা যায় না, এটা যেন শাসক দল মনে রাখে। আমরা যারা তথাকথিত নাগরিক সমাজ এই আধিপত্যের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসেছিলাম, আজ যখন আবার আধিপত্যের ডঙ্কা বাজছে, তখন আমাদের উচিত আবার এগিয়ে আসা। এদের তোষামোদ করা নয়।’’

পল্লব কীর্তনীয়ার প্রশ্ন, ‘‘এক জন মন্ত্রী ঘোষণা করছেন, বিরোধী-শূন্য পঞ্চায়েত গড়তে পারলে পাঁচ কোটি টাকা ইনাম দেওয়া হবে! গণতন্ত্রে কি এটা বলা যায়?’’