ফেসবুকই ফের ভরিয়ে দিল মায়ের কোল

ছোট্ট মেয়েটির নাম নাহিদা। বয়স মাত্র দুই। এখনও ভাল করে কথা ফোটেনি। তাই চা-বাগানে হারিয়ে যাওয়ার পরেও সে কাউকে বলতে পারেনি, তার বাড়ি কোথায়। জানাতে পারেনি, বাবা-মায়ের নাম। বোঝাতে পারেনি অসহয়তার কথা। শুধু কেঁদেই গিয়েছে। অন্য দিকে, বাড়িতে তার মা-মাসি-আত্মীয়েরাও উদ্বেগে অস্থির— ছোট্ট মেয়ে কোথায় গেল? অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নাহিদার সন্ধান মেলেনি। তাঁরাও শুধু কেঁদেই গিয়েছেন।
আর এই দুই কান্নাকেই হাসিতে মিলিয়ে দিয়েছেন এক জনই। তিনি মার্ক জুকেরবার্গ। কী ভাবে?
নাহিদাদের বাড়ি ফাঁসিদেওয়ায়। মা রাসো বিবির সঙ্গে সে বেড়াতে এসেছিল রামগঞ্জের ভক্তিগ্রামে মাসি দিলজানের বাড়িতে। কিন্তু, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন সকালে দিলজান কাজে বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ে মাসির পিছন পিছন বাইরে বেরিয়ে যায় নাহিদা। বাড়ির অন্যেরা ভেবেছিলেন মাসি-ই বোধহয় সঙ্গে করে বোনঝিকে নিয়ে গিয়েছেন। তাই কেউ আর খোঁজ করেননি। কিন্তু, দুপুর নাগাদ দিলজান বাড়ি ফিরে আসার পর বোঝা যায় নাহিদা তাঁর সঙ্গে যায়নি। এর পরেই খোঁজ শুরু হয়।
কিন্তু, তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও পাওয়া যায়নি নাহিদাকে। এর পরেই ঘটনা নাটকীয় ভাবে মোড় নেয়। রাসোর এক আত্মীয় ফেসবুক ঘাঁটতে গিয়ে দেখেন নাহিদার ছবি। আর সেখানে লেখা— এই ছোট্ট মেয়ে সন্তানটিকে সকাল ৮টায় পদমগাছ রাস্তায় পাওয়া যায়। মেয়েটির সঙ্গে কেউ ছিলো না, একাই দিশাহীন ভাবে পদমগাছ রাস্তায় ঘুরতে থাকে। আমরা মেয়েটিকে এক নিরাপদ স্থানে রেখেছি, যদি কেউ এই মেয়েটিকে চেনেন প্লিজ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, 9932480336, 7001259407,9932757949 প্লিজ পোস্টটি share করুন যেন মেয়েটির প্রকৃতি বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
# রামগঞ্জ আলো ওয়েলফেয়ার সোসাইটি
এর পরেই রাসোরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করেন। জানতে পারেন, ছোট্ট নাহিদাকে রামগঞ্জ ফাঁড়িতে রাখা আছে। এর পর সেখান থেকে মেয়েকে নিজের কোলে নিতে পেরে বেজায় খুশি তাঁরা। জানা গিয়েছে, দিলজানের পিছন পিছন বেরিয়ে যাওয়ার পর একটি চা-বাগানে চলে য়ায় নাহিদা। কিন্তু, পথ হারিয়ে ফেলে সে কাঁদতে থাকে। এর পরেই চা-বাগানের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে আলো নামের ওই এনজিওতে যোগাযোগ করে। তারাই শিশুটিকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ ফাঁড়িতে দিয়ে আসে।