এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ বাগডোগরা বিমান বন্দরে ১৮০ জন যাত্রী নিয়ে ইন্ডিগোর একটি বিমানের নামার কথা ছিল। সেই বিমানেই কলকাতা ফেরার কথা ছিল মমতার। ইন্ডিগোর বিমানটি নামার আগে সেখানে কলকাতা থেকে জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমান বাগডোগরায় নামে। তার মিনিট দশেক পরেই ইন্ডিগোর নামার কথা। কিন্তু, হঠাৎই প্রবল ঝোড়ো হাওয়া ওঠে। ফলে ইন্ডিগোর বিমানটি বাগডোগরায় নামতে পারেনি। সেটি উড়ে চলে যায় গুয়াহাটি।
বাগডোগরাতেই বসে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। বা বলা ভাল আটকে পড়েন। কারণ, যে বিমানটি তে তাঁর আসার কথা ছিল সেটি গুয়াহাটি ঘুরে বাগডোগরায় আসবে। ফিরতে ফিরতে সেটার প্রায় সাড়ে ছ’টা বাজার কথা। তাই প্রথমে তাঁকে স্পাইসজেটের একটি বিমানে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, সেখানে কোনও আসন ছিল না। পরে সওয়া ছ’টা নাগাদ এয়ার এশিয়ার একটি বিমানে তিনি কলকাতা ফিরেছেন।
নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বাদ পদে থাকা শোভন
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই বাগডোগরা থেকে ফিরছিলেন। কলকাতা বিমান বন্দরের আকাশে প্রায় আধঘণ্টা চক্কর কেটে তার পর নেমেছিল মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। তাতেও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারও আগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে মমতা ফিরছিলেন পাটনা থেকে। কলকাতার আকাশে কিছুটা চক্কর কাটার পরে জ্বালানি কমে আসার বার্তা পাঠান পাইলট। সেটাও ইন্ডিগোর বিমান ছিল।
মমতার বিমান নামার পরে দেখা যায়, রানওয়ের কাছেই দাঁড়িয়ে রয়েছে দমকল ও অ্যাম্বুল্যান্স। তৃণমূলের তরফে সেই সময় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হয়। পরে বিমানে কী কারণে জ্বালানি কম ছিল, তা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। জ্বালানি বিমানে ছিল কি না, তা নিয়েই ডিজিসিএ তদন্ত শুরু করে।
বিমান বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয় প্রধান রানওয়ে। সেটা প্রতি সোম, বুধ ও শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩টের মধ্য়ে। সেই সময় শহরের মাথায় এসেও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নামতে হয় বিমানকে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি, সেই কারণেই আকাশে চক্কর কাটতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসা বিমানকে। তবে এ দিন ধুলোঝড়ের কারণে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান-বিভ্রাট হয়েছে।