পঞ্চায়েত মনোনয়ন ঘিরে আবার আতঙ্ক, মৃত্যু, রক্তাক্ত বাংলা

পঞ্চায়েত মনোনয়ন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: আবার পঞ্চায়েত মনোনয়ন, আবার অশান্তি। কারও হাতে বন্দুক, কারও হাতে লাঠি, কেউ ছুড়ছে ইটের টুকরো কখনও বোমা। কারও মাথা ফাটছে ইটের আঘাতে, কারও বুক চিরে এফোর-ওফোর হয়ে যাচ্ছে গুলি। বোমায় উড়ছে হাত। আবার রক্তাক্ত বাংলা মনোনয়ন ঘিরে। এখানেই শেষ নয়, আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যম। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ফোনস মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাথা। দু’ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হল মহিলা সাংবাদিককে। এ চিত্র বাংলার। এ চিত্র নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে।

হাইকোর্টই নির্দেশ দিয়েছিল দ্বিতীয়বার মনোনয়নের। কিন্তু প্রশ্ন, কতজন পারল সেই  মনোনয়ন জমা দিতে। কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীকে ফেলে মারা হল রাস্তায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি। সব অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। জ্বলছে সিউড়ি-গোপালনগর। সিউড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যাক্তির। তিনি বিজেপির কর্মী ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অনেক বাড়ি। গোপালনগরেও গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অজানা এক ব্যাক্তির।

টিএমসির গুন্ডারা রাজ্যের গনতন্ত্র নষ্ট করছে। এরা নিজেরাও জানে না ওরা ওদের দলেরই মান খারাপ করছে। এই সবের পিছনে অবশ্যই তৃণমূল রয়েছে।—বাবুল সুপ্রীয়

মাত্র চার ঘণ্টার জন্যই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সকাল থেকে তা ঘিরে শুরু হয়ে গেল সন্ত্রাস। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে চলল ভয়াবহ সন্ত্রাস। পুলিশকে পাওয়া গেল দর্শকের ভূমিকায়। অর্ধেকের বেশি বিরোধীরা পৌঁছতেই পারেননি বিডিও অফিস পর্যন্ত। ২৭ শতাংশ আসনে বিরোধিদের প্রার্থী নেই। প্রথমবার মনোনয়ন ঘিরে অশান্তির পর মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আবার মনোনয়ন নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

সীতারাম ইয়েচুরি সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক

কিন্তু বাংলা রয়ে গেল বাংলাতেই। সেই সন্ত্রাস, সেই রক্তাক্ত মনোনয়ন, সেই মৃত্যু দেখল আবার বাংলার মানুষ। সই তালিকা থেকে বাদ জাননি আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তিনিও। তাঁকেও শাসক দলের দুষ্কৃতিদের হামলার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ। ফেসবুকে সেই ভিডিও পোস্ট করেছেন বাবুল। বীরভূমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হওয়া দিলদার শেখকে বিজেপি ও তৃণমূল তাদের কর্মী বলে দাবি করেছে। এর মধ্যেই উত্তেজনায় ফুটছে গোটা মুর্শিদাবাদ। তার মধ্যে রয়েছে রঘুনাথগঞ্জ, জঙ্গিপুর, হরিহরপাড়া, বহরমপুরের মতো জায়গা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন সুজন চক্রবর্তী ও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সব বিরোধী দল আবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে।

দেখুন বাবুল সুপ্রীয়র ফেসবুক পোস্ট

http://