পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সোমবার শুনানি, প্রস্তুতি কমিশনে

রাজ্য নির্বাচন কমিশন, পঞ্চায়েত ভোটরাজ্য নির্বাচন কমিশন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী সোমবার সেই নিয়ে শুনানি রয়েছে আদালতে। রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই রিপোর্টের উপরেই নির্ভর করছে ভোটের ভাগ্য। আগামী ১, ৩ এবং ৫ মে কি আদৌ ভোট হবে রাজ্যে? এ প্রশ্নের কোনও জবাব এখন কারও কাছেই নেই।

সিঙ্গল বেঞ্চের ওই স্থগিতাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায়। সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এখন গোটাটাই নির্ভর করছে সিঙ্গল বেঞ্চ সোমবার কী রায় বা নির্দেশ দেয়, তার উপর। শনিবার এবং রবিবার দু’দিনই ছুটি। কিন্তু, জানা গিয়েছে ছুটির দিনেও কাজ করছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্মী এবং কর্তারা। কারণ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে। রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। সেই রিপোর্ট তৈরির প্রস্তুতিই চলছে বলে জানা গিয়েছে।

সোমবারের শুনানিতে আদালত এ সব নিয়েও প্রশ্ন করতে পারে। তারও জবাব তৈরি করে রাখা হচ্ছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

পাশাপাশি কোন জেলায় কত মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে, খুঁটিয়ে দেখার পর সেগুলি ঠিক কী অবস্থায় আছে, তার রিপোর্টও তৈরি হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তাদের মারধর করা হয়েছে। চলেছে বোমাবাজি, ভাঙচুর, গুলি। শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোনার পাশাপাশি কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোট্র এবং রাজ্যপালের কাছে দরবার করেছে। সোমবারের শুনানিতে আদালত এ সব নিয়েও প্রশ্ন করতে পারে। তারও জবাব তৈরি করে রাখা হচ্ছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

পঞ্চায়েত ভোট অনিশ্চিত, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সেই পর্বেই রাজ্য জুড়ে ব্যাপক হিংসার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। মারধর, বোমাবাজি, গুলি, ভাঙচুর, বিরোধীদের মনোনয়ন জমা না দিতে দেওয়া— এ সব নিয়ে বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শীর্ষ আদালত রায়ে জানিয়ে দেয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নাক গলাবে না। এ নিয়ে যা করার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই করতে হবে। এর পরেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ নোটিস জারি করেন, আরও এক দিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়ানো হল। কিন্তু, আইনি জটিলতার কারণ দেখিয়ে পর দিন তা ফের খারিজ করে দেন তিনি। এই খারিজের বিরুদ্ধে ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় বিজেপি। পাশাপাশি তারা কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা দায়ের করে।