পঞ্চায়েত ভোট কবে জানা গেল না আজও

১৭ মে ২০২৩: কী কী ঘটল সারাদিনে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোট কবে, সোমবারও তার সুরাহা মিলল না। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গোটা বিষয়টি ঠেলে দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চের দিকে। আর সিঙ্গল বেঞ্চ মামলার শুনানি পিছিয়ে মঙ্গলবার করে দিয়েছে। কাজেই নির্বাচন যে তিমিরে ছিল, থেকে গেল সেখানেই।

এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের সিঙ্গল বেঞ্চে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি যদিও সেই শুনানি পিছিয়ে মঙ্গলবার করেছে। এর আগে গত সপ্তাহে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গোটা প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিল এই সিঙ্গল বেঞ্চই।

এ বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। পাশাপাশি, সিঙ্গল বেঞ্চকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে এই মামলার নিষ্পত্তি খুব দ্রুত করা হয়। এবং এ বিষয়ে গত ১১ এপ্রিলের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও মাথায় রেখে এগ‌নোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ডিভিশন বেঞ্চ যদিও তার রায়ে এ দিন জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চই যা নির্দেশ দেওয়ার দেবে। দিনের শুরুতে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া স্থগিতাদেশের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল‌ তৃণমূল। কিন্তু, ডিভিশন বেঞ্চ শুরুতেই জানতে চায়, সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করে ফের কেন তা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদ‌ন করা হল? জবাবে শাসক দল জানায়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়ার এক্তিয়ার আদৌ সিঙ্গল বেঞ্চের নেই। এর পরেই আদালত জানায়, তারা এ বিষয়ে বিকেল‌ ৫টায় সিদ্ধান্ত জানাবে।

সেই মতো নির্ধারিত সময়ে ডিভিশন বেঞ্চ তার রায়ে জানায়, এ বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। পাশাপাশি, সিঙ্গল বেঞ্চকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে এই মামলার নিষ্পত্তি খুব দ্রুত করা হয়। এবং এ বিষয়ে গত ১১ এপ্রিলের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও মাথায় রেখে এগ‌নোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তবে, সিঙ্গল বেঞ্চে এ দিন মামলার শুনানি শুরু হলেও তা মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়। আগামিকাল মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি। কাজেই পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্য ঝুলে থাকল মঙ্গলবার পর্যন্ত।

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শুনানি

এ দিনে ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি-সহ সব বিরোধী দল। তাদের মতে, এটা নৈতিক জয়। এখন সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যদি বিরুদ্ধে যায় তা হলে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে তৃণমূল। কিন্তু, শীর্ষ আদালত আগেই বিজেপির করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছিল, নির্বাচনের কাজে তারা কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয়। এই সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা হাইকোর্টই দেখবে।

অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট কার্যত হাইকোর্টকে এই মামলা নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেওয়ার কথা বলে। তৃণমূল সূত্রের খবর, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই তারা মেনে নেবে। পঞ্চায়েত ভোট কবে? তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হলেও এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা আপাতত তাদের নেই।