নাগের বাজারে ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঝুলছে বৃদ্ধার দেহ!

সাত সকালে পাড়ার লোকেরা ভদ্রমহিলাকে ও ভাবে ঝুলতে দেখে চমকে উঠেছিলেন। নিজেদের ফ্ল্যাটের চার তলার বারান্দার রেলিং-এর বাইরে গলায় দড়ির ফাঁস, পা ঠেকে রয়েছে তিন তলার কার্নিসে— ঝুলছেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা অমিতা দত্ত!

সঙ্গে সঙ্গে ফ্ল্যাটের সিকিউরিটি কর্মীকে পাঠানো হয় চারতলায়। বৃদ্ধার ছেলে নীলাঞ্জন দত্তকে খবর দিতে গেলে তিনি জানান, পুলিশে জানানো হয়েছে। তবে, ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানতেন না বলেই জানিয়েছেন। এর পর পুলিশ এসে অমিতাদেবীর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

কিন্তু, কী ভাবে মৃত্যু হল ওই বৃদ্ধার? খুন নাকি আত্মহত্যা? ময়নাতদন্তের আগে পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। প্রতিবেশীদের দাবি, যে ভাবে রেলিং-এর বাইরে অমিতাদেবী ঝুলছিলেন, তাতে এটা খুন না হয়ে যায় না। কারণ, এক জন বৃদ্ধার পক্ষে ওখান থেকে নিজে নিজে ঝুলে পড়া প্রায় অসম্ভব।

তা হলে কি কেউ খুন করে অমিতাদেবীকে ওখানে ঝুলিয়ে দিয়েছে? জবাব মেলেনি। তবে, নীলাঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই ভাল চিল। এমনকী পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও বৃদ্ধার সম্পর্কে কোনও ঘাটতি ছিল না।

তা হলে কি আত্মহত্যা? কিন্তু কেন? তারও কোনও কারণ বোঝা যায়নি। পুলিশ নীলাঞ্জনবাবু, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ সুরু করেছে। বৃদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।