তৃণমূল ছাড়লেন ভাইচুং

Bhaichung Bhutia

ফুটবল ছেড়ে বেছে নিয়েছিলেন রাজনীতিকে। পাঁচ বছর কাটিয়েওছিলেন সেই ভূমিকায়। কিন্তু ধরে রাখতে পারলেন না। সরে দাঁড়ালেন রাজনীতি থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সরে দাঁড়ানোর বার্তাও জানিয়ে দিলেন ভাইচুং ভুটিয়া।

পাঁচ বছর আগে ঘটা করে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ৪১ বছরের প্রাক্তন ভারত অদিনায়ক দু’বার নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন। দু’বারই বাজে ভাবে হারতে হয়। ফুটবল মাঠে সব সময়ই দাপটের সঙ্গে কাটিয়েছেন। দীর্ঘ দিন ছিলেন দলের ক্যাপ্টেনও। সে জাতীয় দল হোক বা ক্লাব দল। ভারতীয় ফুটবলে ভাইচুং ভুটিয়া একটা নাম। ভারতীয় ফুটবলের আইকন হিসেবে পরিচিত। সেই ভুটিয়াকেই রাজনীতির মঞ্চে অনেকটা কোনঠাসা হয়ে থাকতে হয়েছিল। তার সঙ্গে ছিল বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত সরে যেতে বাধ্য হলেন।

এই রাজনীতিতে আসার পর পর ব্যাক্তিগত জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখিন হন ভাইচুং। সদ্য রাজনীতি থেকে একটু একটু করে সরছিলেন। ইঙ্গিতটা ছিলই পার্টির কাছেও। ভাইচুং সোমবার সকালে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যপদ, সব রকম সরকারি পদ ও রাজনৈতিক পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম। আমি আর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই।’’

২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং থেকে লড়েছিলেন ভাইচুং। কিন্তু বিজেপির কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যান। এর পর শিলিগুড়ি থেকে বিধানসভা নির্বাচনেও লড়েছিলেন দু’বছর পর। এ বার হেরে যান সিপিএম-এর কাছে। ভাইচুং ভুটিয়ার তরফে খবর, তিনি নাকি আগেই তাঁর দলকে এক মাস আগেই জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে পার্টি সূত্রের খবর তাঁরা ভাইচুংয়ের টুইট থেকেই জানতে পেরেছে।

২০১১ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেন ভাইচুং। ২০১৩তে যোগ দেন রাজনীতিতে, তৃণমূলের হয়ে। গত বছর গোর্খাল্যান্ড বিতর্কে দলের বিরুদ্ধ মত জানিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। অন্য দিকে, দার্জিলিংয়ের সমস্যার জন্য সিকিমকে অনেকটা দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিকিমই ভাইচুংয়ের জন্মস্থান। কিন্তু রাজনীতি ছেড়ে আবার ফুটবলেই ফিরবেন ভাইচুং। বেশ কয়েক বছর ধরে নিজের ফুটবল স্কুল নিয়ে কাজও করছেন।

এই মুহূর্তে থাইল্যান্ডে সন্তানদের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন ভাইচুং ভুটিয়া। গত কালই নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সেই ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। তাই তাঁকে ফোনে ধরা যায়নি।