অশান্তি চলছেই পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে

অশান্তিঅশান্তি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অশান্তি বেড়েই চলেছে। কমার লক্ষণ এখনও স্পষ্ট নয়। আর সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ সেই শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

গত সোমবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেই দিন থেকেই শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। কিন্তু, সোম, মঙ্গল এবং বুধ— পর পর তিন দিনই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের ছবিটা এক চিলতেও বদলায়নি।

সন্ত্রাসের বঙ্গে কোথাও চলল বোমা, গুলি। কোথাও বা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হল। পাশাপাশি চলল মারধর, ভাঙচুর। বাদ গেলে‌ন না পেশাগত কারণে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। শাসক দল তৃণমূল যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন সবটার দায় আবার চাপিয়ে দিয়েছেন বিজেপি-র ঘাড়ে।

বিজেপি নেতাকে প্রকাশ্যে ছুরি! অভিযুক্ত তৃণমূল

এ দিন সকাল থেকেই অশান্ত ছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, উত্তরের কোচবিহার থেকে দক্ষিণের সন্দেশখালি— সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, মারধর, সবই চলল অবাধে।

শাসক দল তৃণমূল যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন সবটার দায় আবার চাপিয়ে দিয়েছেন বিজেপি-র ঘাড়ে।

রায়গঞ্জে প্রকাশ্যেই দেখা গেল একদল যুবককে পিস্তল উঁচিয়ে শূন্যে গুলি চালাতে। শোনা গেল বোমাবাজির বিকট টানা আওয়াজ। জেলার বেশির ভাগ পঞ্চায়েতেই মনোনয়নপত্র তুলতেই পারেননি বিজেপি প্রার্থীরা। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে, মারধর করে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেই বিজেপি-র অভিযোগ। রায়গঞ্জ হাসপাতাল রোডে বিজেপি-র দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরাই এ সব করেছেন। ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি-র জেলা কার্যালয়ের সামনে পথ অবরোধ করেন দলীয় সমর্থকেরা।

প্রায় একই রকম ঘটনা দেখা গেল কোচবিহারে। এ দিন সকালে জেলার কয়েকটি জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে বিরোধী দলের প্রার্থীরা তৃণমূলের বিপুল সমর্থকদের মুখোমুখি হন। তাঁদের অনেকের হাতেই নাকি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সাধারণ মানুষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এর মধ্যেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তাঁদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয় ক্যামেরা। এখানেও অভিযুক্ত তৃণমূল।

বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরাই এ সব করেছেন। ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি-র জেলা কার্যালয়ের সামনে পথ অবরোধ করেন দলীয় সমর্থকেরা।

উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতেও একই রকম ভাবে হামলা চালাও হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় মারধর-লুঠপাট চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয় সিপিএম এবং বিজেপি পার্টি অফিস। এ দিন সকাল থেকে তাই সন্দেশখালিতে চলে পথ অবরোধ।

বাদ যায়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার। সেখানেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ সব ‘দাঙ্গাবাজ’ দলের কাজ। তিনি নাম না করেই বিজেপি-র কতাই বোঝাতে চেয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।