বিমল কি এ বার গ্রেফতার হবেন রাজ্যের হাতে?

বিমলবিমল গুরুং।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিমল কি তা হলে গ্রেফতার হবেন এ বার? গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আন্দোলনে নেমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন বিমল গুরুং। কিন্তু, শুক্রবার সেই শীর্ষ আদালতই জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার তার এক্তিয়ারে থেকেই কাজ করেছে। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। নাগরিক এবং সরকারের সম্পত্তি এবং তাদের সুরক্ষার দিকটা রাজ্য সরকারেরই দেখার কথা। সেই মতো তারা ঠিকঠাক কাজই করেছে। এ দিন এমনটাই জানিয়েছে শীর্য আদালত। পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, যে সুরাহা পাওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতে এসেছেন বিমল, তা তিনি পাওয়ার অধিকারী নন।

দার্জিলিং-এ টানা আন্দোলনের সময়, বিমলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে লুকআউট নোটিস জারি করে রাজ্য সরকার। তাঁকে পাকড়াও করতে একাধিক অভিযান চালানো হয়। সিকিমে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে ধরতে গিয়ে প্রাণ যায় অমিতাভ মালিক নামে এক পুলিশ কর্মীর। কিন্তু বিমলকে ধরা যায়নি। তিনি পালিয়ে পালিয়েই বেড়াচ্ছিলেন। পরে গ্রেফতারি এড়াতে এবং রাজ্য তাঁর বিরুদ্ধে দমনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান বিমল।

বিমানে গ্যাংটক! দারুণ খবর

সেই সময় আদালত জানিয়েছিল, বিমলের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কিন্তু, এ দিনের রায়ের পর বিমলকে গ্রেফতার করতে আর কোনও অসুবিধা থাকছে না বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ব্যাখ্যা। তবে, এখুনি তাঁকে গ্রেফতার করা হবে কি না, তা নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য করেনি রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন উত্তরবঙ্গেই ছিলেন। তিনি শুধু আদালতের রায়কে স্বাগত জানানো ছাড়া আর কোনও মন্তব্য করেননি। যে সিকিমে গুরুং আশ্রয় পাচ্ছেন বলে রাজ্যের অভিযোগ ছিল, এ দিন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংও শিলিগুড়িতে মমতার সঙ্গে ছিলেন। তিনিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

ফের বিমান বিভ্রাটে মমতা, এবার কারণ কী?

আদালতের বিষয় বলে কোনও কথা বলেনি বিজেপি-ও। দার্জিলিং-এর সাংসদ সুরিন্দর সিং অহলুওয়ালিয়াকে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করে সংবাদমাধ্যম। তিনিও জানান, এটা আদালতের বিষয়। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। জানা যায়নি গুরুং-এর দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মতও। এ দিন রায়ের পর ফের বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন গুরুং। রাত পর্যন্ত কোথাও কোনও সংবাদমাধ্যমেই তাঁকে মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। বা একটা সময় যে বিমল, গোপন ডেরা থেকে অডিও বার্তা পাঠাতেন, এ দিন রায়ের পর তিনিও চিলেন নীরব।

বিমলকে নিয়ে রাজ্য এ বার কী অবস্থান নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে এখন পাহাড়।