এক দিনেই পঞ্চায়েত ভোট ১৪ মে, প্রস্তাব রাজ্যের, মানল কমিশন

কাটল অনিশ্চয়তা, ১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন।কাটল অনিশ্চয়তা, ১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: এক দিনেই পঞ্চায়েত ভোট হোক। এবং সেটা আগামী ১৪ মে। গণনা হোক ১৬ তারিখ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন প্রস্তাবই পাঠিয়েছিল নবান্ন। সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে এক দিনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে।

এ দিন সন্ধ্যায় কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়। সেখানে কমিশন জানিয়েছে, আগামী ১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কোনও বুথে যদি পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজন হয়, তবে তা ১৬ তারিখে হবে। এবং গণনা হবে ১৭ মে। এমনটাই কমিশন সূত্রে খবর। তবে, কমিশনের এই নির্দেশে ক্ষুব্ধ সমস্ত বিরোধী দল।

এর আগে গত ২ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন তিন দফায় ভোট গ্রহণের কথা ঘোষণা করেছিল। ভোট হওয়ার কথা ছিল ১, ৩ এবং ৫ মে। কিন্তু, মনোনয়ন পর্বেই রাজ্য জুড়ে অশান্তি শুরু হয়। গুলি-বোমা-মারামারি-ভাঙচুরের পাশাপাশি বিরোধীদের মনোনয়ন জমা না দিতে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। শেষে আদালতের নির্দেশে ভোট প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি হয়। ফের, আদলতের নির্দেশেই নয়া ভোট নির্ঘণ্ট জারি করে কমিশন। সেই মতো মনোনয়নপত্র আরও এক দিন জমা নেওয়া হয়। কিন্তু, সে দিনও রাজ্য জুড়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। বীরভূমে গুলিতে এক জনের প্রাণও যায়।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যখন তিন দফা ভোটের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন রমজান এবং বর্ষা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। রাজ্য নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হবে বলে কমিশনকে জানিয়েছে রাজ্য।

মনোনয়ন পর্বেই যেখানে এত অশান্তি, সেখানে ভোটের দিনগুলিতে কী পরিস্থিতি হতে পারে তা নিয়েই আশঙ্কায় ছিল বিরোধীরা। রাজ্যে মোট পুলিশ কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫৮ হাজার। আর বুথের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৪৬৭। কাজেই তিন দফায় ভোট হলেও পুলিশ কর্মী পর্যাপ্ত ছিল না। সেখানে এক দিনে ভোট হলে তো বুথ প্রতি এক জন পুলিশও দেওয়া যাবে না। তা হলে নিরাপত্তার বিষয়টি কী হবে, তা নিয়ে আরও আশঙ্কায় বিরোধীরা। তবে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যখন তিন দফা ভোটের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন রমজান এবং বর্ষা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। রাজ্য নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হবে বলে কমিশনকে জানিয়েছে রাজ্য।

সিতারা ভুলে গিয়েছেন তাঁর ‘মেয়ে জন্ম’ হয়েছিল

বিরোধীরা আদালতে আধাসামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু, আদালত সবটাই কমিশনের উপর ছেড়ে দেয়। কমিশন এ দিন জানায়, আধা সামরিক বাহিনী নিয়ে সরকারের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।