তৃণমূলে যোগ টলিউড পাড়ার একদল চেনা মুখের, রয়েছেন ক্রিকেটার-ফুটবলার

তৃণমূলে যোগ

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: তৃণমূলে যোগ টলিউড পাড়ার একদল চেনা মুখের তার মধ্যে অন্যতম সদ্য বিতর্কে জরানো নাম সায়নী ঘোষ। সব সময়ই সোজা সাপটা কথা বলে থাকেন। পরিচিত ছিলেন বামপন্থী বলেও। সেই সায়নী এক টেলিভিশন শো-য়ে কিছু মন্তব্য করে বিজেপির চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন। মামলা পাল্টা মামলার মধ্যেই সায়নীর পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জের  ডানলপ ময়দানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। মঞ্চ থেকে তুলে দিলেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।

শুধু সায়নী নন, এই তালিকায় এদিন নাম লেখালেন টলিউডের একাধিক পরিচিত মুখ। এতদিন শুধু টলিউড ছিল বিজেপিমুখী। রুদ্রনীল থেকে যশ, যাঁদের নিয়ে উত্তাল হয়েছিল টলিপাড়া। এ বার সেই একই ছবি দেখা গেল তৃণমূলেও। এদিন ওই একই মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া, মানালি দে, অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও সুদেষ্ণা রায়।

একদল গ্ল্যামার দুনিয়া মানুষের সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলের পতাকা তুলে নিলেন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও ফুটবলার সৌমিক দে। রাজ চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলপন্থী বলে পরিচিত কিন্তু সামনে এলেন এই প্রথম। এবার সামনে থেকেই রাজনীতি করবেন এই চেনা মুখেরা বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

কাঞ্চন মল্লিক, জুন মালিয়াদের মঞ্চ থেকেই হুঙ্কার দিতে শোনা গেল। জুন জানিয়ে দেন, তিনি নেতা বলতে শুধু ‘দিদি’কেই বোঝেন, তিনি রাজনীতি বোঝেন না তবে মানুষ বোঝেন তাই তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। তিনি দিদির সঙ্গে আজীবন থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন। একই বক্তব্য কাঞ্চনেরও। তিনও রাজনীতি না বোঝার দাবিই করেছেন।

এর আগে তৃণমূলের সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার নজির রেখে গিয়েছেন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা। দীর্ঘদিন তিনি ছিলেন পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী। তাঁর হাতে উঠেছে মন্ত্রীত্বও। তবে সম্প্রতি তিনি ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাজনীতিকে বিদায় জানানোর কথা ঘোষণা করেছেন এবং সরে দাঁড়িয়েছেন দল থেকে। তবে সবার মতো এখনও তৃণমূল ছেড়ে বাকিদের মতো বিজেপিতে যোগ দেননি তিনি।

তাঁর দেখানো পথেই এ বার তৃণমূলে যোগ দিলেন বাংলা তথা ভারতীয় দলের ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। যদিও তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার খুব দীর্ঘ হয়নি। চোট-আঘাত তাঁকে বার বার জাতীয় দল থেকে ছিটকে দিয়েছে। প্রতিভাবাণ বলে খ্যাত এই ক্রিকেটার শেষ পর্যন্ত খেলেছেন বাংলার হয়ে। এবার হয়তো ক্রিকেট থেকে অবসরের পালা।

একই পথে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছেন প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সৌমিক দে। তিনিই প্রথম নন বাংলার ফুটবলে। এর আগে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপেন্দু বিশ্বাস, রহিম নবিদের দেখা গিয়েছে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে। এবার সে পথে হাঁটলেন সৌমিকও।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)