নন্দীগ্রামে মমতা, প্রার্থী হিসেবে প্রথম বার, বুধবার জমা মনোনয়নপত্র

নন্দীগ্রামে মমতা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথম তিনি সেখানে প্রার্থী হিসেবে গেলেন। আগামী ১ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রে নির্বাচন। মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী তাঁরই এককালের সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। আগামিকাল বুধবার হলদিয়ায় গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন মমতা। তার আগে এ দিন বিকেল থেকে রাত, কার্যত চষে বেড়ালেন প্রায় গোটা নন্দীগ্রাম। রাতে থাকবেও এখানে।

নন্দীগ্রামে মমতা দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে যে আচমকা কোনও সিদ্ধান্ত নেননি, তা এ দিন জানিয়েছেন তিনি। বরং সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রামের মধ্যে থেকেই কোথাও দাঁড়াবেন বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এ দিন বিকেল সওয়া তিনটে নাগাদ মমতার কপ্টার নামে নন্দীগ্রামে। মঞ্চে উঠেই জানিয়ে দেন, এটা জনসভা নয়। ১০ হাজার বুথকর্মীকে তিনি এ দিন ডেকেছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে।


একুশের ভোটের আরও খবর

নন্দীগ্রামের সভা থেকে মমতা এ দিন বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষরাই গুন্ডাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। নন্দীগ্রামের মানুষের কথা তুলে ধরতে দিল্লি, মুম্বই গিয়েছি। নন্দীগ্রামে কেন দাঁড়ালাম? ঘরের কেন্দ্র ছিল ভবানীপুর। কিছুই করতে হত না। মনে রাখবেন, যে দিন শেষ এসেছিলাম। তখন এখানে আসনটা খালি ছিল। পদত্যাগ করে চলে গিয়েছিল। তখন বলেছিলাম, নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে কেমন হবে। দেখতে চাইলাম আপনারা কী বলেন। আপনারা বললেন ভাল হবে। আপনাদের সেই ভালবাসা, উন্মাদনা দেখে বুঝেছিলাম নন্দীগ্রাম আমার দু’চোখ।’’ এর পরেই তিনি স্লোগান তোলেন, ‘‘ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামই সম্প্রীতি শিখিয়েছে।’’

তিনি দক্ষিণ কলকাতার বাইরে কিছু বোঝেন না, এমন অভিযোগ সম্প্রতি বিরোধী শিবির থেকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মমতা এ দিন মঞ্চ থেকে তার জবাবে বলেন, ‘‘আমি নিজেও গ্রামের মেয়ে। গ্রামের জন্য ভালবাসা রয়েছে। শহরে বড় হয়েছি। সব দিয়েছে। কিন্তু গ্রামে ফিরে যাই কারণ হারিয়ে যাওয়া ছোট্টবেলা ফিরিয়ে দিয়েছে। সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রাম, যে কোনও একটা জায়গায় দাঁড়াব ভেবে রেখেছিলাম। কারণ দুটোই আন্দোলনের পীঠস্থান।’’

আগামিকাল বুধবার তিনি হলদিয়ায় গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। মমতার কথায়, ‘‘শহিদ বেদিতে মালা দিতে যাব। আগামী কাল আপনাদের ভালবাসা আশীর্বাদ নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাব। তার পর আবার ফিরে আসব নন্দীগ্রামে। ১১ তারিখে শিব চতুর্দশী। একেবারে পুজো দিয়ে যাব। ওই দিনই আবার ইস্তাহার প্রকাশ হবে। সারা পৃথিবীতে একটাই নাম থাকবে, নন্দীগ্রাম। মা-বোনেরা অনেক লড়াই করেছেন। ওঁরা না থাকলে আন্দোলন সাফল্যমণ্ডিত হত না।’’


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)