হড়পা বান মাল নদীতে, প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গেল ১১টি বাড়ি

হড়পা বান মাল নদীতেহড়পা বান মাল নদীতে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: হড়পা বান মাল নদীতে, তার জেরেই নদীগর্ভে তলিয়ে গেল ১১টি বাড়ি। গৃহহীনদের সরানো হল স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ভুটান পাহাড় এবং ডুয়ার্সে গত কয়েক দিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে একাধিক নদীতে জল বেড়েছে। মাল নদীতেও জল বাড়ে। জলের তোড়ে নদীর পার্শ্ববর্তী ১১টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়।

বাসিন্দারা মালপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন বৃষ্টির মধ্যেই। গৃহহীনদের স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের তরফে। অস্থায়ী ওই ত্রাণ শিবিরে জনা পঁচিশেক রয়েছেন বলে মালের বিডিও জানিয়েছেন। মাল পুরসভা বিষয়টির তদারকির দায়িত্বে। আপাতত ত্রিপল ও ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মাল শহরের পূর্ব প্রান্তে নদী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই হু হু করে তার জল বাড়তে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হতেই মাল নদীর জল বেড়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘হড়পা বান মাল নদীতে, আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। আমরা দিন আনি দিন খাই। সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফিরে দেখি নদীর জল বেড়েই চলেছে। চোখের সামনে বাড়িঘর নদীর জলে তলিয়ে গেল। রাত যত বেড়েছে জল বেড়েছে। আমরা বাঁধের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি।’’ এখনও অটুট রয়েছে যাঁদের বাড়ি, তাঁরাও চিন্তায়। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘আমাদের বাড়িঘর এখনও সে রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কোন সময়ে মাল নদী এসে আমাদের বাড়িতেও আঘাত হানে! দিনরাত জেগেই কাটাচ্ছি।’’

অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গের পাহাড়় লাগোয়া জেলাগুলিতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে একটি মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। সে জন্যই বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। ফলে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস।

কলকাতার আকাশও শুক্রবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে মহানগরীতে। তবে শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী কাল শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)